4:16 pm , May 15, 2024

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ সাজানো মামলায় সাংবাদিক আলম রায়হান জামিন পেয়েছে। বুধবার বরিশাল মহানগর হাকিম আদালত তাকে জামিন দেয়। সাংবাদিক আলম রায়হানসহ তিনজনরে বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি করে ওই আদালত। এ মামলায় আলম রায়হান ১৫ মে আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে আদালত তা মঞ্জুর করে তাঁকে জামিন প্রদান করেন।
সাংবাদিক আলম রায়হানের বিরুদ্ধে করা সাজানো মামলায় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সাবেক পরিদর্শক মো. আলমগীর হোসেন ২৫ মার্চ আদালতে মনগড়া ও মিথ্যা প্রতিবেদন দাখিল করেন। এ মামলায় ১৩ এপ্রিল বরিশাল মেট্রোপলিটান মেজিষ্ট্রেট আদালত সাংবাদিক আলম রায়হানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, মিথ্যা মামলা দায়ের করার ক্ষেত্রে আলম রায়হানের বয়োবৃদ্ধ খালা মমতাজ বেগমকে ব্যবহার করেছে ভূমিদস্যু ও মাদক চক্রের গড ফাদার জনাব খান। খালার করা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিদর্শক মো: আলমগীর হোসেন দুই লাখ টাকার বিনিময়ে আদালতে প্রতিবেদন দেয়। আলমগীর হোসেন মনগড়াভাবে লিখেছেন, “বিবাদী আলম রায়হান (৫৫) একজন অত্যন্ত রাগি মন মানসিকতার লোক। তার নেতৃত্বে গত ২১ জানুয়ারী বাদির দোকান ঘর নির্মানের জন্য ৫০০ কেজি রড, ৫০ বস্তা সিমেন্ট, ৪ হাজার পিস ইটসহ প্রায় পৌনে তিন লাখ টাকার মালামাল চুরির অভিযোগ করে। কিন্তু তার প্রতিবেদনের স্বপক্ষে কোন ভিডিও বা ছবি দেননি। আবাসিক এলাকা থেকে দিনের বেলায় এসব নিয়ে যাওয়া অসম্ভব।
অনুসন্ধানে প্রকৃত ঘটনা জানা গেছে, আলম রায়হানের বিরুদ্ধে ডামি বাদী হিসেবে দাড়করানো মমতাজ বেগম তুলনামূলকভাবে অস্বচ্ছল। তিনি নিজে বিধবা এবং তার একমাত্র পুত্রের বিধবা স্ত্রী ও তিন নাতিসহ চারজনের ভরণÑপোষণ তাঁর উপর নির্ভরশীল। কিন্তু এই চারজনের কেউ কোন কাজ করেন না। ফলে স্বজনদের সাহায্য-সহযোগিতার পাশাপাশি মমতাজ বেগম জীবন ধারনের ব্যয় নির্বাহে পৈত্রিক জমি বিক্রির উপর বহুলাংশে নির্ভরশীল। মমতাজ বেগমের বিধবা পুত্রবধু ইসরাত জাহান শানুর (৪৮) লক্ষ্য শাশুড়ি মমতাজ বেগমের জমি বিক্রি করে টাকা হাতিয়ে নেয়া। এক্ষত্রে তার সহযোগী হচ্ছে ইমরান খান। জমির দলিল লেখক হিসেবে পরিচয়ের আড়ালে ইমরান খান আসলে ভূমি দস্যু, প্রতারক ও মাদক চক্রের গড ফাদার। নানান ধরনের অপরাধের পাশাপাশি সে চেক জালিয়াতি মামলার জেল খাটা আসামি।
সাংবাদিক আলম রায়হানের এক মাত্র ছেলের ক্রয়কৃত জমিতে অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা করে ইমরান খান। এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতে অভিযোগ দায়ের করা হয়। যা বিচারাধীন রয়েছে।
আলম রায়হানের বয়োবৃদ্ধ খালা মমতাজ বেগমকে প্রভাবিত করে একাধিক দেওয়ানী ও ফৌজদারী মামলা দায়ের করিয়েছেন। এমনকি তিনি তার ছোট বোন রওশন আরা বেগমসহ অন্যদের বিরুদ্ধে জমিজমা নিয়ে দেওয়ানী মামলায় জড়িয়েছেন মমতাজ বেগম। এ ক্ষেত্রে তাকে বুঝানো হয়েছে, তার বাবার কোন পুত্র সন্তান না থাকায় পিতার সকল জমির একমাত্র উত্তরাধিকার তিনি এবং বাকি পাঁচজন তার বাবার মেয়ে নয়। বরং এই পাঁচ মেয়েকে অনাথ হিসেবে পালন করার জন্য আনা হয়েছিলো। সাংবাদিক আলম রায়হানের বিরুদ্ধে মনগড়া প্রতিবেদন প্রদান কারী ডিবির ওসি মো: আলমগীর হোসেন দুর্নীতিবাজ ইন্সপেক্টর হিসেবে পরিচিত। সে বর্তমানে এপিবিএন এ কর্মরত।