4:13 pm , May 15, 2024

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ প্রচন্ড গরমে তৃপ্তিদায়ক রসালো স্বাদের একটি ফল পানি তাল। গ্রীস্মকালীন এই ফলটিকে ঘিরে আমাদের প্রায় সকলেরই রয়েছে বাল্যকালের নানা মধুর স্মৃতি। মৌসুমি এই ফলটি খেতে পছন্দ করে না এমন সংখ্যা নেই। প্রতি বছর গ্রীস্মের শুরুতে বাজারে ওঠে দারুন স্বাদের ফল পানি তাল। এ বছরও ভ্রাম্যমান ও স্থায়ী দোকানে নগরীর বিভিন্ন স্থানে উঠেছে ফলটি। এ মাসের শুরু থেকেই কম বেশি দেখা গেলেও বর্তমানে নগরী সয়লাভ মজাদার এই ফলের বিক্রেতায়। বরিশালে বিভিন্ন জেলা উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল থেকে সংগ্রহ করে এনে নগরীতে বিক্রি করা হচ্ছে বেশিরভাগ ভ্রাম্যমান ভাবে। প্রতিটি দোকানেই বিক্রি হচ্ছে প্রচুর পরিমানে। দামে সস্তা ও সাদে অতুলনীয় হওয়ায় সব শ্রেনির ক্রেতারাই বেশ আগ্রহের সাথে কিনছেন বলে জানিযেছে বিক্রেতারা। বর্ষার আগ পর্যন্ত এমনভাবেই বেচাকেনার আশাবাদি তারা।
সরেজমিনে নগরীর বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে, রসালো ফল পানি তাল নিয়ে রাস্তার পাশে বসেছেন ব্যবসায়ীরা। আকার ও শাসের পরিমান ভেদে ১০ টাকা থেকে ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে প্রতিটি তাল। দুই শাসের একটি তাল ১০ টাকা এবং ৩/৪ শাসের তালের মূল্য ২০ টাকা। বিক্রেতারা জানায়, নগরীর বিভিন্ন স্থানের এই ফলের ক্রেতারা কেউ কিনছে পিস আবার কেউ কিনছে তালের পুরো ছড়া। দাম কম হওয়ায় শ্রমজিবীরাও সহজেই কিনতে পারছে। বিক্রেতা আয়নাল মিয়া জানান, উজিরপুরের এক পাইকারের কাছ থেকে পাইকারি ৬/৭ টাকা দরে কিনে এনেছেন। বিক্রি করছেন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ নগরীর ছোট বড় মসজিদের সামনে। ক্রেতারা প্রচুর পরিমানে আগ্রহ নিয়ে কিনছে। বেশি বেচাকেনা হওয়ায় প্রতিদিন সব খরচ বাদে লাভও হচ্ছে ভালই।
ক্রেতা কামরুল আলম জানান, “পানি তালের স্বাধ-ই আলাদা”। পরিবারের সকলের জন্যই তিনি তাল কিনেছেন। দিনমজুর রিপন বলেন, প্রচন্ড গরমে অস্থিরতা কাটাতে তিনি পানি তাল খাচ্ছেন। নগরীর নতুন বাজার এলাকার খুচরা পানি তাল বিক্রেতা সুজন ঘরামী জানান, প্রতিদিন ২শ’ থেকে ৩শ’ তাল বিক্রি করেন তিনি। খরচ বাদ দিয়ে দৈনিক গড়ে তার আয় হয় ৫শ থেকে ৬শ’ টাকা। বরিশাল বাবুগঞ্জ উপজেলার চাঁদপাশা গ্রামের ফোরকান তাল নিয়ে এসেছেন শহরে। তিনি বলেন, প্রতি বছর এ মৌসুমে গ্রামে গ্রামে ঘুরে পানি তাল সংগ্রহ করেন তিনি। প্রত্যেকটি গাছ তাল অনুপাতে ৪০০-৫০০ টাকায় কিনে রাখেন। এছাড়া গাছ থেকে তাল পাড়তে গাছ প্রতি ২০০-২৫০ টাকা মজুরী দিতে হয়। এছাড়া শহরে আনতে পরিবহণ খরচ লাগে। তাতে প্রতিটি তাল কিনতে গড়ে ৩-৪ টাকা খরচ হয়। আর তিনি প্রত্যেকটি তাল ৫-৬টাকা হিসেবে পাইকারী বিক্রি করেন।