4:03 pm , May 14, 2024

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ আগৈলঝাড়ার নুসরাত জাহান সিনথিয়া এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেলেও পরিবার দিনমুজর হওয়ায় কলেজে ভর্তি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ভর্তি ও শিক্ষার খরচের চিন্তায় বাবা-মায়ের চোখমুখে এখন হতাশার ছাপ। জানা গেছে, উপজেলা সদরের এসএম বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসিতে বিজ্ঞান শাখায় জিপিএ-৫ পেয়েছে নুসরাত জাহান সিনথিয়া। সিনথিয়ার পিতা মো. ছগির সিকদার পেশায় পত্রিকা বিক্রেতা। অভাবের সংসারে কষ্ট করে পড়াশোনা করেছে সিনথিয়া। উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের ফুল্লশ্রী গ্রামের পত্রিকা বিক্রেতা ও ৩ সন্তানের পিতা মো. ছগির সিকদারের বড় মেয়ে নুসরাত জাহান সিনথিয়া। তার দ্বিতীয় ছেলে হাসান সিকদার সদর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণিতে লেখাপড়া করছে। চার বছরের ছোট ছেলে হোসাইন শিকদারকে স্কুলে ভর্তি করা হয়নি। তার মা জাহানুর আক্তার সিমু একজন গৃহিণী। সিনথিয়া জানায়, নিজে নিজে বাসায় বসে দৈনিক ১৬ ঘন্টা লেখা পড়া করেছি। শুধুমাত্র একটি প্রাইভেট পড়েছি। এখন ভর্তি এবং পড়ালেখায় প্রয়োজনীয় টাকা তার পত্রিকা বিক্রেতা পিতার পক্ষে যোগান দেওয়া সম্ভব না। অর্থের অভাবে আমার কলেজে ভর্তি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। সিনথিয়া লেখাপড়া করে ডাক্তার হয়ে দরিদ্রদের সেবা করতে চায়। সিনথিয়ার বাবা মো. ছগির শিকদার বলেন, পত্রিকা বিক্রির আয় দিয়ে সংসার চালানো দায় হয়ে পড়েছে। মেয়ের কলেজে পড়ালেখার খরচ কোথায় পাব। এসএম বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হারুন অর রশীদ জানান, নুসরাত জাহান সিনথিয়া একজন মেধাবী ছাত্রী। গরীব পরিবারের সন্তান হয়েও ভালো রেজাল্ট করে এখন অর্থের অভাবে কলেজে ভর্তি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে তার।