3:57 pm , May 14, 2024

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ গৌরনদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ও গৌরনদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মো. হারিছুর রহমানের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরন বিধি লংঘন ও বিধি বহির্ভূত আচরন এবং অবৈধ প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার বিকেলে বরিশাল জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও গৌরনদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার বরাবরে প্রতিদ্বন্দ্বি দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী সৈয়দা মনিরুন নাহার মেরী ও মো. মনির হোসেন মিয়া লিখিতভাবে অভিযোগ করেছেন। তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের কথা জানান রিটার্নিং কর্মকর্তা।
বরিশালের অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও গৌরনদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মোঃ আবুল কালামের বরাবরে দেয়া লিখিত অভিযোগে যৌথভাবে স্বাক্ষর করেন চেয়ারম্যান প্রার্থী বরিশাল জেলা মহিলা লীগের সাধারন সম্পাদক সৈয়দা মনিরুন নাহার ও গৌরনদী পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. মনির হোসেন মিয়া। অভিযোগে তারা উল্লেখ করেন, নির্বাচন কমিশন গৌরনদী উপজেলার নির্বাচনী তফশিল ঘোষনার পর থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী মোঃ হারিছুর রহমান আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হিসেবে নিজেকে ঘোষনা দেন। তার প্রতি দলীয় মনোনয়ন বা সমর্থন না থাকলেও তিনি হরহামেশাই নিজেকে ইচ্ছামত দলীয় প্রার্থী উল্লেখ করেন এবং গৌরনদী উপজেলা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় অফিসকে তার নির্বাচনী প্রধান কার্যালয় ঘোষণা করে নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। প্রতিদিন তার কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে আওয়ামী লীগ অফিসে নির্বাচনী সভা করেন এবং বিভিন্ন উস্কানীমূলক বক্তব্য দেন। এহেন কার্যক্রমের ফলে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ন ভোট নিয়ে গ্রামগঞ্জের সাধারণ ভোটার ও সাধারন মানুষের মধ্যে এক ধরনের ভীতিকর পরিস্তিতি সৃষ্টি হচ্ছে।
সৈয়দা মনিরুন নাহার মেরী ও মোঃ মনির হোসেন মিয়া অভিযোগ করে বলেন, মোঃ হারিছুর রহমান শত শত মোটরসাইকেল নিয়ে মহড়া দিয়ে নির্বাচনী প্রচারনা চালান। সব সময় বহর নিয়ে মহড়া দিয়ে ভোটারদের মধ্যে এক ধরনের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেন। যা নির্বাচনী আচরনবিধি লংঘন। মহাসড়কে যানবাহন চলাচলে বিঘœ সৃষ্টি করে সড়কে নির্বাচনী সভা সমাবেশ করে আসছে। নির্বাচনী আচরণবিধি লংঘনের দায়ে হারিছুরের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ গ্রহন করে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করার দাবি জানান। হারিছুর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার পক্ষে গণজোয়ার শুরু হয়েছে। আসন্ন নির্বাচনে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে আমার বিজয় সুনিশ্চিত দেখে প্রতিদ্বন্দ্বি ও প্রতিপক্ষরা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে এবং আমাকে হয়রানী করতে মিথ্যা অভিযোগ করেছে। এ অভিযোগের কোন সত্যতা নাই।
বরিশাল জেলার সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা ওয়াহিদুজ্জামান মুন্সী বলেন, নির্বাচন আচরনবিধি লংঘনের অভিযোগে চেয়ারম্যান প্রার্থী হারিছুর রহমান হারিছকে শোকজ করা হয়। তিনি স্ব-শরীরে হাজির হয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। দলীয় কার্যালয় ব্যবহার ও দলীয় প্রার্থীর অভিযোগ ম্যাজিষ্ট্রেট তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন।