4:25 pm , May 13, 2024

রিয়াদ মাহমুদ সিকদার, কাউখালী প্রতিবেদক ॥ ডিজিটাল ও স্মার্ট তথ্য প্রযুক্তির ছোঁয়ায় গ্রাম বাংলার কৃষ্টি-কালচারের সাথে সম্পর্কিত কাচারি ঘর এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে। এক সময় কাচারি ঘর ছিল গ্রামের আভিজাত্যের প্রতীক। বাড়ির আঙ্গিনার কাচারি ঘরে তখন অতিথিরা থাকত। বিশেষ করে গ্রাম্য সালিশ বৈঠক বসত এই কাচারি ঘরে। কাচারি ঘরটি মূল বাড়ির বাইরে থাকার কারণে এই ঘরটি বাড়ির সৌন্দর্য্য বাড়িয়ে তুলতো। এ ঘরেই অনেক সময় রাত যাপন করতেন বাড়িতে বেড়াতে আসা অতিথিরা। অনেক সময় সকালে এটিকে মক্তব হিসেবে ব্যবহার করা হতো। আধুনিকতার ছোঁয়ায় বাড়ির সৌন্দর্য্য এ কাচারি ঘর এখন আর তেমন চোখে পড়ে না। ঐ সময় যাদের আর্থিক অবস্থা ভালো ছিল তাদের প্রায় বাড়িতেই কাচারি ঘর ছিল।
পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার ৪৫ টি গ্রামের মধ্যে দুই/একটি বাড়িতে কাচারি ঘর দেখা গেলেও সেগুলো অযতœ-অবহেলায় পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এখন আর তেমন ব্যবহার হয় না। নেই সেই পুরনো দিনের কাচারি ঘরের মধ্যে গল্প আড্ডা কিংবা রাত জেগে বিভিন্ন জারি সারি গান বাজনা, তাস ও লুডু খেলার আসর। উপজেলার বিশিষ্ট সমাজসেবক আব্দুল লতিফ খসরু বলেন,ওই সময় কাচারি ঘরে সমাজের সকল প্রকার সামাজিক কার্যকলাপ চলত। আমাদের প্রত্যেকের উচিত সমাজের পুরাতন স্মৃতিগুলো ধরে রাখা। উপজেলা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এখন আধুনিক ও ডিজিটাল যুগের কারণে গ্রামগঞ্জের বিত্তমানরা শহরে গিয়ে বাড়ি করছে। তারা আর গ্রামের দিকে খেয়াল রাখছে না। গ্রামের অনেক ছেলে-মেয়েরা লেখাপড়া করে দেশের বাইরে চাকরিসহ বাড়ি-গাড়ী করছে। পূর্বপুরুষের ঐতিহ্য কাচারি ঘরের দিকে তেমন একটা নজর দিচ্ছে না বর্তমান যুগের ছেলে-মেয়েরা।