4:26 pm , May 12, 2024

আগৈলঝাড়া প্রতিবেদক ॥ বরিশালের উজিরপুরে অস্ত্রোপচার করতে গিয়ে আগৈলঝাড়ার তরুণী সুমাইয়া আক্তারের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে পুলিশ বরিশাল মর্গে প্রেরণ করেছে।
স্বজনদের অভিযোগ, ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ তাদের সাথে কথা না বলেই ওই তরুণীর অস্ত্রোপচার করাতে নিয়ে যায়। শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১ টায় উজিরপুর উপজেলার পশ্চিম সাতলায় ‘মায়ের দোয়া ক্লিনিক এন্ড ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত সুমাইয়া আক্তার (১৮) আগৈলঝাড়া উপজেলার খাজুরিয়া গ্রামের হেলাল মীরের মেয়ে।
সুমাইয়ার ভাই রবিউল মীর জানান, সুমাইয়ার পেটের ডান পাশে ব্যাথা অনুভব হলে শনিবার বিকেলে উজিরপুরের সাতলা মায়ের দোয়া ক্লিনিক এন্ড ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যায় তারা।
পরে কোন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করে অ্যাপেন্ডিসাইটিস হয়েছে জানিয়ে স্বজনদের জিজ্ঞাসা না করেই সুমাইয়াকে রাত সাড়ে আটটায় ক্লিনিকের লোকজন অস্ত্রোপচার করতে নিয়ে যায়। সেখানে গোপালগঞ্জ থেকে আসা চিকিৎসক সাধন বসু সুমাইয়ার অস্ত্রোপচার করেন। রাত সোয়া ৯ টার দিকে অপারেশন থিয়েটার থেকে বের হয়ে ডা. সাধন বসু রোগী সুমাইয়ার অবস্থা ভালো নয় জানিয়ে তিনি ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। পরে রাত সাড়ে ১১ টার দিকে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ সুমাইয়ার মৃত্যু নিশ্চিত করে। স্বজনদের অভিযোগ রোগ না শনাক্ত করে অস্ত্রোপচার করায় তাদের মেয়ে মারা গেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ সাতলা ইউনিয়নের বাসিন্দা রেজাউল করিম ওই ক্লিনিকের পরিচালক।  তবে সে চিকিৎসক না হয়েও চিকিৎসক পরিচয়ে অনেক সময় বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা দেন। আর সে কৌশলে ক্ষমতা দেখিয়ে বিভিন্ন রোগীকে ক্লিনিকে জোরপূর্বক ভর্তিও করেন।
উজিরপুর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তৌহিদুজ্জামান জানান, খবর পেয়ে থানা পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে সুমাইয়াার মরদেহ উদ্ধার করেছে। স্বজনরা মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে ক্লিনিক পরিচালক ডা. রেজাউল করিমের ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।