3:50 pm , May 7, 2024

প্রচার-প্রচারণা শেষে বিজয়ের আভাস দিলেন সদর উপজেলাবাসী
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মাহামুদুল হক খান মামুনের দরজায় বাজছে বিজয়ের ঘন্টা। দীর্ঘ প্রচার-প্রচারনা শেষে এমনটাই আভাস দিলেন উপজেলার ১০ ইউনিয়নবাসী। এমনকি সামাজিক যোগাযাগ মাধ্যমেও তা প্রচার করছে সাধারন মানুষ ও ভোটাররা। তারা তাদের উন্নয়নে খান মামুনকে-ই পাশে চান। একাধিক ভোটার বলেন, জীবনের বেশীরভাগ সময় খান মামুন আওয়ামী লীগের রাজনীতি এবং বরিশালবাসীর সাথে কাটিয়েছেন। যা তার সংসারেও তিনি এতটা সময় ব্যয় করেননি। এমনকি রাজনীতিতে তিনি যে অর্থ ঢেলেছেন সে রকম কোন নেতা এখনো মেলেনি। তিনি তার বাবা-দাদার সম্পত্তি বিক্রি করে রাজনীতি করছেন। এখনো একই অবস্থায় রাজনীতি করছেন। তাছাড়া নির্বাচনী মাঠে ঘোষনা দিয়েছেন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে পারলে তিনি তার সম্মানী এবং সরকার থেকে যে বরাদ্দ আসবে তা ইউনিয়ন পর্যায়ে আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে বন্টন করবেন। একটি টাকাও তিনি তার পকেটে নিবেন না। খান মামুনের এ কথাগুলো অক্ষরে অক্ষরে পালন করবে বলে বিশ্বাস উপজেলাবাসীর। অন্য কেউ হলে তা আলাদা ছিল। যে ব্যক্তিটি জীবনের বেশীরভাগ সময় নিজের অর্থ দিয়ে রাজনীতি করে আসছেন সে কোন সময় মিথ্যা আশ্বাস দিতে পারে না। আর সেই বিশ্বাসে উপর ভর করেই খান মামুনকে উপজেলাবাসী বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয় করে তাকে পুরস্কৃত করবে। তাছাড়া দীর্ঘদিনেও ১০ ইউনিয়নে তেমন উন্নয়ন হয়নি। খান মামুন কথা দিয়েছেন নির্বাচিত হওয়ার সাথে সাথে ১০ ইউনিয়নে কবরস্থান থেকে শুরু করে শশ্মান ঘাট, ঈদগাহ ময়দান, মার্কেট, খেলার মাঠ, শিশুদের জন্য পার্ক এবং বিনোদন কেন্দ্র নির্মানে তৎপর হবেন। তিনি যেভাবেই হউক প্রতিমন্ত্রীকে সাথে নিয়ে এর উন্নয়ন করবেন বলে উপজেলাবাসীর বিশ্বাস। বছরের পর বছর পেরিয়েছে কোন উপজেলা চেয়ারম্যান ইউনিয়নের তেমন কোন উন্নয়ন করেননি। শুধু নির্বাচনের সময় বড় বড় বুলি শুনিয়েছেন। তাদের বুলির সাথে খান মামুনের বুলির পার্থক্য অনেক অনেক। আর ইউনিয়নবাসীর আস্থা রয়েছে খান মামুন নিজের টাকা দিয়ে হলেও তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করবেন। আর তার সেই আশ্বাসের উপর ভর করেই আজ বুধবার নির্বাচনে খান মামুনকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করবেন উপজেলাবাসী। খান মামুনের যারা প্রতিদ্বন্দ্বি রয়েছে তাদের মধ্যে দুই প্রার্থী একজন বর্তমান সরকারকে পুজি করে টাকার পাহাড় বানিয়েছে। আরেকজন বারবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে জনগনের টাকা লুটপাট করেছে। এখানে তাদের কথার কোন মূল্য নেই। একাধিক চেয়ারম্যান ও মেম্বার বলেন, ভোটাররা খুব সচেতন। ভোট চাইলেই ভোট দেবেন এমনটা নয়। তবে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে খান মামুনকে সাধারণ গ্রামবাসী থেকে শুরু করে ভোটাররা গ্রহন করেছেন। কারন খান মামুনের নীতি নৈতিকতা সকলের কাছে পরিস্কার। যে মানুষটি বোঝার পর থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত সেই মানুষটি আজ পর্যন্ত কোন দল থেকে কিছুই পায়নি। বয়সের শেষ পর্যায়ে এসে উপজেলাবাসীর কাছে তার একটাই চাওয়া চেয়ারম্যান হিসেবে তাকে নির্বাচিত করার। তার চাওয়াকে সকলেই প্রাধান্য দিয়ে তাকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করবে ভোটাররা। এখন শুধু সময়ের ব্যাপার। এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহামুদুল হক খান মামুন বলেন, জীবনের বেশীরভাগ সময় ছাত্রলীগ এবং যুবলীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলাম। কোন সময় দলের কাছে তেমন কিছুই চাইনি। শেষ বয়সে এসে সদর উপজেলাবাসীর অনুরোধে আমি চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছি। তারা আমাকে আশ্বাস দিয়েছেন নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী করবেন। আর তাদের আশ্বাসকে বিশ্বাস করেই আমার নির্বাচনে অংশ নেয়া। আমি বিশ্বাস করি উপজেলাবাসী তাদের কথা রাখবে। একই সাথে প্রতিটি প্রচার-প্রচারনায় আমি এবং প্রচার টিম আমার পক্ষ যে সকল আশ্বাস দিয়েছে তা বাস্তবায়ন করা হবে। কোন ইউনিয়ন অবহেলিত থাকবে না। শুধু আপনাদের দায়িত্ব আমাকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করার। পরবর্তী দায়িত্ব আমি আমার কাধে নিলাম। সেখান থেকে এক পাও পিছাবো না। আমি সারাজীবন পরিবারের সম্পত্তি বিক্রি করে রাজনীতি করেছি। শেষ বয়সে সদর উপজেলার উন্নয়নে প্রয়োজনে আরো সম্পত্তি বিক্রি করবো।