3:58 pm , May 3, 2024
গৌরনদী প্রতিনিধি ॥ বরিশালের গৌরনদী উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার রাতে বাটাজোর বাসষ্ট্যান্ডে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় শুক্রবার গৌরনদী মডেল থানায় পাল্টাপাল্টি দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আহত উপজেলা যুবলীগ নেতা দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী ও আহত ইউপি চেয়ারম্যান সৈকত গুহ পিকলুর মা বাদি হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। আহত সৈকত গুহ পিকলু ও তার সহযোগী পলাশ হাওলাদারের অবস্থার অবনতি ঘটলে বৃহস্পতিবার গভীর রাতেই তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হারিছুর রহমানের সমর্থক আহত যুবলীগ নেতা দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী আফরোজ আক্তার ৩৮ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছেন। মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন : ইউপি চেয়ারম্যান সৈকত গুহ, তার ছোট ভাই কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সম্পাদক সলিল গুহ, গৌরনদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ খোকন মল্লিক, আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ জাকির হোসেন, ৩নং ওয়ার্ডের পৌর কাউন্সিলর ও পৌর যুবলীগের সাধারন সম্পাদক আল আমিন হাওলাদার, ৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সির ও পৌর যুবলীগের সহ সভাপতি মোঃ ইখতিয়ার হোসেন। ইউপি চেয়ারম্যান সৈকত গুহর মা তাপসি রাণী গুহ ৩০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন : উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন, তার ছেলে ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ মাহমুদ, বাটাজোর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক কালু তালুকদার।
মনির মিয়া অভিযোগ করেন বলেন, হারিছুর রহমানের সমর্থক যুবলীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বাটাজোর বাসষ্ট্যান্ডে মহড়া দিতে থাকে। আমরা গণসংযোগ শুরু করলে হামলা চালিয়ে সৈকত গুহ, সমর্থক পলাশ হাওলাদার ও মামুন খানকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। সৈকত গুহ অভিযোগ করে বলেন, হারিছুর রহমানের সন্ত্রাসী বাহিনী পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানোর প্রস্তুতি নেয়। আমি বিষয়টি টের পেয়ে গৌরনদী মডেল থানার ওসিকে ফোনে অবহিত করে তার সাহায্য চাই কিন্তু পুলিশ পাঠাতে বিলম্ব করায় হারিছুরের ক্যাডার দেলোয়ার হোসেনের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করেছে। এ সময় আমার সহযোগী পলাশ হাওলাদার ও মামুন খানকে কুপিয়ে জখম করে একটি ঘরের মধ্যে অবরুদ্ধ করে রাখে। গৌরনদী থানার উপ-পরিদর্শক মোঃ সহিদুল ইসলাম পুলিশ নিয়ে আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেন। আমার উপর হামলার খবর পেয়ে আমার মা তাপসি রাণী গুহ, স্ত্রী বিপাশা গুহ ও ছোট ভাই সলিল গুহ গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পৌঁছলে তাদের মারধর করা হয়। অভিযোগ অস্বীকার করে যুবলীগ নেতা দেলোয়ার হোসেনের সমর্থক ও বাটাজোর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক কালু তালুকদার বলেন, পরিকল্পিতভাবে মাহিলাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈকত গুহ দেলোয়ার হোসেনকে লক্ষ্য করে পিস্তল দিয়ে গুলি করেছে।
গৌরনদী মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) মোঃ মাজাহারুল ইসলাম বলেন, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ মনির হোসেন মিয়া ও মাহিলাড়া ইউপি চেয়ারম্যান সৈকত গুহ পিকলু সমর্থকদের নিয়ে একটি জানাজায় যাওয়ার পথে বাটাজোর বাসষ্ট্যান্ডে ছবি তোলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহত উপজেলা যুবলীগ নেতা দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী ও আহত ইউপি চেয়ারম্যান সৈকত গুহর মা বাদি হয়ে পাল্টাপাল্টি দুটি মামলা দায়ের করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।