4:34 pm , May 2, 2024

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ গৌরনদীতে উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে মাহিলারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যানসহ চারজনকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার বাটাজোর বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, গৌরনদী উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদের তিন প্রার্থী ঐক্য বেধে মাঠে নেমেছিলেন। তারা স্থানীয় সংসদ সদস্য আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর দেয়া চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নিজেদের মধ্যে একজনকে চেয়ারম্যান পদে দাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো। গতকাল সন্ধ্যায় তিন প্রার্থীর সমর্থনে মাহিলারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সৈকত গুহ পিকলুর নেতৃত্বে প্রচারনায় যায়। সেখানে অপর প্রতিদ্বন্দ্বি চেয়ারম্যান প্রার্থী হারিছুর রহমানের নেতৃত্বে তার কর্মীরা সৈকত গুহ পিকলু, তার ভাই শলীল গুহ পিন্টু, ড্রাইভার পলাশ হাওলাদার ও আওয়ামী লীগ নেতা আমিনুল ইসলামের উপর হামলা করে গুরুতর আহত করে। এসময় আত্মরক্ষার্থে পিকলু গুলি করলে বাটাজোর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুর রব হাওলাদারের ভাই দেলোয়ার হোসেন দিলু হাওলাদার গুলিবিদ্ধ হয়।
গুলিবিদ্ধ দিলুকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ইউপি চেয়ারম্যান পিকলুকে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। পরে তাকেও শেবাচিমে হাসপাতালে আনা হয়।
গৌরনদী উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুন নাহার মেরী বলেন, কুপিয়ে জখম করা পিকলুকে শেবাচিম হাসপাতালে নেয়ার জন্য এ্যাম্বুলেন্স খবর দেয়া হয়। কিন্তু প্রতিপক্ষের লোকজন হাসপাতাল ঘেরাও করে। তারা এ্যাম্বুলেন্সসহ সকল যানবাহন আটকে দেয়। খবর পেয়ে তিনি গিয়ে পিকলুকে উদ্ধার করে শেবাচিম হাসপাতালের উদ্দেশ্যে পাঠিয়ে দিয়েছেন।
কি ঘটনা ঘটেছে তা পুরো না জেনে বলতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুন নাহার মেরী।
গুলিবিদ্ধ দিলুর ভাই বাটাজোর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুর রব হাওলাদার বলেন, আমি অসুস্থ। কি ঘটেছে আমি জানি না। শুনেছি নির্বাচনী প্রচারনায় হামলা হয়েছে। এতে দিলু গুলিবিদ্ধ হয়েছে ও পিকলুকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। গৌরনদী মডেল থানার পরিদর্শক মাজাহারুল ইসলাম জানান, দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে চারজনকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। অভিযোগ পেলে পরবর্তি ব্যবস্থা নেয়া হবে।