3:48 pm , April 16, 2024

রিয়াদ মাহমুদ সিকদার, কাউখালী প্রতিবেদক ॥ গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত সব ঋতুতেই এখন সন্ধ্যা ও গাবখান নদীর কড়াল গ্রাস কেড়ে নিচ্ছে পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার ২নং আমরাজুড়ী ইউনিয়নের আশোয়া গ্রামের অধিকাংশ ঘরবাড়ি। গ্রামটি মানচিত্র থেকে এখন ছোট হয়ে গেছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য আল আমিন হোসেন জানান, একযুগ আগেও ৩ হাজার খানা ছিল। এই গ্রাম ভাঙতে ভাঙতে এখন একহাজার দুইশ খানায় পড়ে রয়েছে। সন্ধ্যা ও গাবখান কেড়ে নিয়েছে বেশ কিছু মসজিদ, মক্তব, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, এলাকার বৃহৎ খেলার মাঠসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। এসব ভাঙনকবলিত এলাকার লোকজন যারা অবস্থা সম্পন্ন তারা অন্যত্র বাড়ি ঘর নির্মাণ করে বসবাস করছে। আর যারা অপেক্ষাকৃত গরীব শ্রেণির তাদের পূর্ব পুরুষের ভিটা বাড়ি ছিল মূল সম্পদ, যা হারিয়ে তারা নিস্ব অসহায় যাযাবরের মত জীবন যাপন করছে। কেউ কেউ আবার সরকারিভাবে আবাসনে ঠাঁই পেয়েছে। এখনও অনেকের ঠাঁই হয়নি মৌলিক চাহিদার সর্বশ্রেষ্ঠ স্থান বাসস্থানের। আশোয়া গ্রামের ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্যজীবি হানিফ, রুস্তুম, মোজাম্মেল শরীফ, আবুল বাশারসহ অনেকেরই জায়গা-জমি, বাড়ি-ঘর হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে। এলাকার সংরক্ষিত আসনের সদস্য আকলিমা বেগম জানান, ভাঙনের ঝুঁকিতে বর্তমানে প্রায় শতাধিক পরিবার রয়েছে। তাদেরকে দ্রুত সরিয়ে না নিলে তারাও জমি-জমা, বাড়ি-ঘর হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যাবে। ভাঙন রোধকল্পে এখন পর্যন্ত সরকারি বা বেসরকারিভাবে কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি বলে এলাকার অনেকেই জানান। তারা ক্ষোভের সাথে জানান, শত শত বাড়ি-ঘর স্থাপনা ভেঙে গেলেও সরকারি বা বেসরকারি ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উদ্যোগ গ্রহণ করতে দেখা যায়নি। এ ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান আবু সাঈদ মিয়া জানান, দ্রুত সময়ের মধ্যে ভাঙন রোধকল্পে প্রকল্প গ্রহণ করা হবে।