4:11 pm , April 4, 2024

হরিনাথপুর পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ আব্দুর রহিম মৎস্য কর্মকর্তার সাথে দুর্ব্যবহার করে বললেন কারেন্ট জাল বিক্রি করবো, তাতে তোর কি ?
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ হিজলা উপজেলায় কারেন্ট জাল উদ্ধার অভিযানে গিয়ে ফাঁড়ির পুলিশের দুই দফার হামলার শিকার হয়েছে মৎস্য কর্মকর্তা। বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার হরিনাথপুর বাজার সংলগ্ন এলাকায় হামলার ঘটনা ঘটে বলে মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলম জানিয়েছেন। তিনি বলেন, হরিনাথপুর পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক আব্দুর রহিম তাকে লাঞ্চিত করেছে। বেধরকভাবে মারধর করেছে তিন কর্মচারীকে। আহতরা হলো-হিজলা উপজেলা মৎস্য বিভাগের মাঠ কর্মী মো. হানিফ, মাঝি মো. ইয়াসিন ও সাইদুল ইসলাম।
মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলম জানান, হরিনাথপুর ইউনিয়নের পুলিশ ফাড়ি সংলগ্ন মো. ইউনুসের বাড়ীতে বিপুল পরিমান কারেন্ট জাল রয়েছে খবর পেয়ে নৌ-পুলিশ নিয়ে অভিযান করেন। এ সময় ওই ঘর থেকে এক বস্তা কারেন্ট জাল উদ্ধার করা হয়। তখন ঘরে থাকা এক নারী জানিয়েছে ফাড়ির ইনচার্জ সব জানেন। ফাড়ির ইনচার্জ আব্দুর রহিমকে খবর দিলে তিনিসহ আরো দুইজন এসেই কর্মচারীদের মারধর শুরু করে। এ সময় আব্দুর রহিম তার সাথে দুর্ব্যবহার করে করে বলেছে কারেন্ট জাল বিক্রি করবো, তাতে তোর কি ?
মৎস্য কর্মকর্তা অভিযোগ করেন, তার চলে আসার পর আবারো দুইটি মোটর সাইকেল নিয়ে এসে হামলা করেছে। এ সময় ইনচার্জ রহিম ও পুলিশ সদস্য এনাম এবং শাকিল এসে মারধর করেছে।
এ ঘটনা উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে জানিয়ে মৎস্য কর্মকর্তা বলেন, তারা নির্দেশনা দিলে মামলা করা হবে।
অভিযোগ সম্পর্কে জানতে পরিদর্শক আব্দুর রহিমকে বলেন, একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আমি যেটা বলতে চেয়েছি, মৎস্য কর্মকর্তা সেটা না বুঝে অন্য আরেকটা বুঝেছেন।
ভিডিওতে দেখা গেছে, একটি মোটরসাইকেল থেকে নেমে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আব্দুর রহিম মৎস কর্মকর্তাকে শাসাচ্ছেন এবং তার দুই সহযোগী অভিযানিক দলের সদস্যদের অকথ্য ভাষায় গালাগাল এবং বেধম মারধর রাস্তার ওপর প্রকাশ্যে করছেন। আর নৌ পুলিশের সদস্যরা সবাইকে ছাড়ানোর চেষ্টা করছেন।
হিজলা নৌ পুলিশের ইনচার্জ তরিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, অভিযানে গিয়ে থানা পুলিশের সাথে মৎস বিভাগের কর্মকর্তাদের ঝামেলা ও হাতাহাতি হয়েছে। ঘটনাস্থলে নৌ পুলিশের সদস্যরা ছিল, তবে পুরো বিষয়টি এখনও বিস্তারিত জানিনা। আর যেহেতু থানা পুলিশের সদস্যদের সাথে হয়েছে তাই আমরা এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কাউকে জানাইনি।
হিজলা থানার ওসি মো. জুবাইর বলেন, ঘটনা শুনেছি। কিন্তু মৎস্য বিভাগ থেকে কেউ কোন অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।