4:11 pm , April 1, 2024
আরিফ আহমেদ, বিশেষ প্রতিবেদক ॥ ঈদের ৯ দিন আগে নিজের হারানো মোবাইল ফোনটি ফিরে পেয়ে যেন ঈদের আনন্দই পেলেন গৌরনদীর আশুকাঠী থেকে আগত আয়েশা বেগম। বললেন, আমার অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এবং প্রিয়জনের ছবি ছিলো এই মোবাইল ফোনে। তিনি বরিশাল পুলিশকে ধন্যবাদ জানান। শুধু আয়েশা একা নয়, লিমন, হাসান, শরীফাসহ প্রায় অর্ধশতাধিক ফোন হারানো মানুষের সমাগম হয়েছিল বরিশাল জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে। ১ এপ্রিল সকালে এখানে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে উদ্ধারকৃত প্রায় অর্ধশতাধিক (৫২ টি) মোবাইল ফোন প্রকৃত মালিকের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয় । এ নিয়ে গত ছয়মাসে প্রায় চারশ ফোন উদ্ধার ও হস্তান্তর করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত মোবাইল ফোনগুলো যথাযথ মালিকের হাতেই তুলে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বরিশালের পুলিশ সুপার ওয়াহিদুল ইসলাম। বরিশাল জেলা পুলিশ আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান তিনি। এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজওয়ান আহমেদসহ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন । এতে জানা গেছে, গেলো বছরের ডিসেম্বরে জেলা পুলিশের ১০টি থানা এলাকা থেকে চুরি যাওয়া ৫১টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে গোয়েন্দা শাখা ও সাইবার অপরাধ দমন ইউনিট কর্তৃক গঠিত চৌকস টিম।
তাদের কাজের ভূয়সী প্রশংসা করেন পুলিশ সুপার ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন, গত নভেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত বরিশালের বিভিন্ন থানায় মোবাইল ফোন হারানো এবং চুরির ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় সাধারণ ডায়েরীর পরিপ্রেক্ষিতে গত ৬ মাসে ৩৫০ টি মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়েছে এবং এ সংক্রান্ত ৮টি মামলা চলমান রয়েছে।
পুলিশ সুপার বলেন, গত এক মাসে আমাদের চৌকস টিম দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৫২টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে। যা আজ প্রকৃত মালিকের কাছে হস্তান্তর করা হলো।
অধিকাংশ মোবাইল ফোনই বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপ ও অনলাইন সাইটের মাধ্যমে হাতবদল হয়ে অন্য জেলায় চলে গিয়েছিলো, যা উদ্ধার করতে অনেক কাঠখড় পোহাতে হয়েছে বলে জানান ওয়াহিদুল ইসলাম। উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে মোবাইল ফোনগুলো উদ্ধার করা হয় বলে জানান তিনি।
পুলিশের কঠিন দায়িত্ববোধ ও সচেতনতা বোধ চর্চার ধারাবাহিকতায় জেলা গোয়েন্দা শাখা ও সাইবার অপরাধ দমন ইউনিট নিয়ে গঠিত চৌকস টিম গত ০১ মাসে বরিশাল জেলার ১০টি থানা এলাকা থেকে বিভিন্ন সময়ে হারিয়ে যাওয়া ৫২ টি মোবাইল ফোন বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে উদ্ধার করেছে। উদ্ধারকৃত এসব মোবাইল ফোন প্রকৃত মালিকের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজওয়ান আহমেদ। তিনি জানান, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অপরাধীরা পুরাতন ইলেকট্রনিক ডিভাইস (মোবাইল, ল্যাপটপ, ট্যাব) ব্যবহার করে অপরাধমূলক কাজ করে থাকে। পুরাতন ইলেকট্রনিক ডিভাইস (মোবাইল, ল্যাপটপ, ট্যাব) ভালোভাবে যাচাই- বাছাই করে ক্রয় করার বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকার আহ্বান জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।