4:12 pm , March 30, 2024

ঢাকা-বরিশাল নৌ-রুট
হেলাল উদ্দিন ॥ এ বছরের চিত্রটা একটু ভিন্ন। পদ্মা সেতু চালু হবার পর গত দু বছর ধরে ঢাকা-বরিশাল নৌ-রুটে যে যাত্রী খরা তৈরী হয়েছিলো এবার তা থেকে ভিন্ন কিছু চিন্তা করছেন লঞ্চ মালিকরা। তাদেরও প্রত্যাশা অন্তত ঈদের ৩/৪ দিন আগে ও পরে আবার আগের মত লঞ্চের ছাদেও দেখা যাবে যাত্রীদের ভিড়। এই আশার পিছনে কারন দুটি একটি হচ্ছে বাসের চেয়ে তুলনামূলক ভাড়া কম এবং সড়ক পথে সাম্প্রতিক সময়ে দূর্ঘটনার সংখ্যা বৃদ্ধি ও যানযট।
কেন্দ্রীয় লঞ্চ মালিক সমিতির সহ সভাপতি ও বরিশাল সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ¦ সাইদুর রহমান রিন্টু বলেন, আমরা ইতিমধ্যে ঢাকায় সভা করেছি। ঈদের বিশেষ সার্ভিস ভাড়া, আগাম টিকিট বিক্রি ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। ঈদের আগে ঢাকা প্রান্ত থেকে আমাদের বিশেষ সার্ভিস শুরু হবে। আশা করছি এবার পূর্বের ২ বছরের চেয়ে যাত্রী অনেক বাড়বে। তিনি বলেন ঢাকা প্রান্তে শুধু ঢাকা বরিশাল রুটের জন্য ১৪/১৫ টি লঞ্চ প্রস্তুত থাকবে। ঈদের ৩/৪ দিন আগে থেকে আমরা ৫/৬ টি লঞ্চ চালানো শুরু করব। যাত্রী চাপ বুঝে প্রয়োজন হলে সংখ্যা আরো বাড়ানো হবে।
তিনি আরো বলেন, ডেকে এবার আমরা ভাড়া নেব মাত্র ৩৫০ টাকা। যা সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে ১ শ’ টাকা কম। এছাড়া সারা বছরের ন্যায় সিঙ্গেল কেবিন ১২’শ টাকা এবং ডাবল ২৪’শ টাকা করে নেব। এবার আমাদের টার্গেট ব্যবসা নয় যাত্রী টানা যোগ করেন রিন্টু।
রিন্টু বলেন, বাসে একজন যাত্রীর বরিশাল পর্যন্ত ভাড়া রাখবে কমপক্ষে ৫’শ টাকা। সাথে একজন ছোট বাচ্চা হলে তার জন্য একটি সিটি রাখতে হবে। আর্থ্যা দুইজনের ভাড়া পড়বে ১ হাজার টাকা। অথচ লঞ্চে এই দুজন বরিশাল আসতে পারবে মাত্র ৩৫০ টাকা। কারন বাচ্চাদের ভাড়া তো আমরা নেই না।
তিনি বলেন ইদানিং কালে সড়ক পথে দূর্ঘটনা অনেক বেড়ে গেছে। ঈদে যানযটও হবে। সব মিলিয়ে সস্তি ও স্বস্তার ভ্রমন হিসাবে লঞ্চে যাত্রী আসবে বলে প্রত্যাশা আমাদের। আগামী ২ এপ্রিল থেকে আগাম টিকিট বিক্রি শুরু হবে বলে বলে লঞ্চ মালিক সুত্রে জানা গেছে।