4:08 pm , March 27, 2024
মুলাদী প্রতিবেদক ॥ মুলাদীতে বাটামারা ইউনিয়নে হাজী ও আকন পক্ষের আধিপত্যের দ্বন্দ্বে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। গতকাল বুধবার ভোর ৬টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত বাটামারা ইউনিয়নের টুমচর গ্রামের জোড়া ব্রিজ এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় শতাধিক হাতবোমার বিস্ফোরণ হয়েছে বলে দাবি করেছেন স্থানীয়রা। হাতবোমার বিস্ফোরণে টুমচর গ্রামের মৃত মোসলেম সিকদারের ছেলে মোদাচ্ছের সিকদার নিহত হয়েছেন। এঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১০জন। আকন পক্ষের লোকজন বুধবার ভোররাতে এলাকায় প্রবেশের সময় হাজী পক্ষের লোকজন প্রতিহত করলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয় বলে জানান স্থানীয়রা।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ৩ জানুয়ারি বাটামারা ইউনিয়নের টুমচর গ্রামের হাজী পক্ষের রুবেল শাহ হত্যার ঘটনায় ৪৫জনের নামে মামলা হলে আকন পক্ষের লোকজন এলাকা ছেড়ে চলে যায়। এর পর ওই এলাকায় হাজী পক্ষের লোকজনের আধিপত্য চলছে। রুবেল শাহ হত্যা মামলার আকন পক্ষের বেশ কিছু আসামি ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে বিভিন্ন তারিখে উচ্চ আদালত ও নি¤œ আদালত থেকে জামিন নিয়ে বুধবার ভোররাতে এলাকা দখলের চেষ্টা করেন। সংবাদ পেয়ে হাজী পক্ষের লোকজন আজিজ ডাক্তারের বাড়ির কাছে জোড়া ব্রিজ এলাকায় অবস্থান নেয় এবং তাদের প্রতিহত করে। এসময় উভয় পক্ষ ব্যাপক হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। মূর্হুমুহ হাতবোমার বিস্ফোরণে টুমচর ও আশপাশের এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বিস্ফোরণে আহত হয়ে মোদাচ্ছের সিকদার মারা যান। নিহত মোদাচ্ছের সিকদারের চাচাতো ভাই দাদন সিকদার জানান, বুধবার ভোররাতে মোদাচ্ছের ও অন্যান্যরা নিজেদের বাড়ির উদ্দেশ্যে টুমচর এলাকায় প্রবেশ করেন। জোড়া ব্রিজের কাছে পৌছলে সুলতান সরদার, শহিদ মাস্টার, সোহাগ ও পলাশের নেতৃত্বে ৫০-৬০জন লোক হামলা চালায় এবং আতঙ্ক ছড়াতে হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। বিস্ফোরণে মোদাচ্ছের সিকদার, হারুন ঢালী, রমজান খান, মাসুদ ঢালী, তোফাজ্জেল হাওলারসহ ১০-১১জন আহত হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পথে গুজার খেয়াঘাট এলাকায় পৌছলে মোদাচ্ছের সিকদার মারা যান। আহতদের কালকিনি ও মাদারীপুরের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এব্যাপারে মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাকারিয়া বলেন, মুলাদী উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় বোমে একজন নিহত হয়েছেন বলে জেনেছি।