চকবাজার, গীর্জামহল্লা, কাঠপট্টি রোডের  পোষাকের দোকানে নেই ক্রেতা চকবাজার, গীর্জামহল্লা, কাঠপট্টি রোডের  পোষাকের দোকানে নেই ক্রেতা - ajkerparibartan.com
চকবাজার, গীর্জামহল্লা, কাঠপট্টি রোডের  পোষাকের দোকানে নেই ক্রেতা

4:10 pm , March 20, 2024

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ প্রতিবছর এই সময়ে জমে ওঠে নগরীর ঈদের পোশাক বাজার। রোজা শুরু থেকেই নগরীর চকবাজার, গীর্জামহল্লা, কাঠপট্টির বিভিন্ন তৈরি পোশাক ও থান কাপড় বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলোতে থাকে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। তবে এ বছরের চেহারা অনেকটাই ভিন্ন। একে একে দশটি রোজা শেষ হলেও ক্রেতার আকালে পড়েছে নগরীর বাণিজ্যিক এই এলাকাটিতে। ঈদে জমজমাট বেচা কেনার পুরো প্রস্তুতি সম্পন্ন করেও ক্রেতার অভাবে অলস সময় পার করছে এই তিন এলাকার সকল ব্যবসায়ীরা। বিগত বছরগুলোর ন্যায় ভীড় তো দূরের কথা বেচাকেনা করতেও অপেক্ষা করতে হচ্ছে বেশ বেলা পর্যন্ত। বিক্রেতাদের দাবি করোনার পরে ক্রেতার আকালের এমন চিত্র এ বছরই তাদের ভাবাচ্ছে চরমভাবে। যেখানে গত বছর এই সময় এক একটি দোকান দৈনিক লক্ষাধিক টাকার বেচাকেনা করতো, সেখানে প্রতিদিন ১০-২০ হাজার টাকার পোশাক বিক্রি করতেই হাঁপিয়ে উঠতে হচ্ছে। এমন অবস্থা বেশিদিন চললে এই ঈদে লাভ করা তো দূরের কথা কর্মচারীদের বেতন ভাতা দিয়ে চালান তুলতেই হিমশিম খেতে হবে। তবে এমন পরিস্থিতি কি কারণে তৈরি হয়েছে সে বিষয়ে জানতে চাইলে বিক্রেতারা জানায়, নগরীর বাসিন্দাদের আয়ের ভারসাম্য নষ্ট হয়েছে। কেউ কেউ আয়ের টাকায় বিলাসিতা করতে পারলেও অনেকেই পারছে না প্রয়োজন মিটিয়ে কেনাকাটা করার মত অর্থ জমাতে। এছাড়া দ্রব্যমূলের উর্ধ্বগতির কারণে মৌলিক চাহিদা পূরণ করতেই অনেকে হিমশিম খাচ্ছে। অন্যদিকে ক্রেতারা বলছে মান্ধাতার আমলের পোশাক চরা মূল্যে কিনতে এখন আর বেশি লোক ভিড় করে না নগরীর এই বাণিজ্যিক এলাকাটিতে। দেশের স্বনামধন্য বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পোশাক বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের আউটলেট খুলেছে নগরীর বিভিন্ন এলাকায়। মানুষ এখন ঐ সকল প্রতিষ্ঠানেই যাচ্ছে তাদের ঈদের কেনাকাটার জন্য। বুধবার নগরীর চকবাজার, কাটপট্রি,গীর্জামহল্লা সহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে দুটি ভিন্ন চিত্র। যেখানে পূর্বে সকল শ্রেণীর ক্রেতাদের ভিড়ে নগরীর এই বাণিজ্যিক এলাকাটি এই সময় থাকতো জমজমাট। সেখানে এ বছর নেই কোন ক্রেতা। হরেক রকমের মালে সাজানো প্রতিষ্ঠানগুলো দিনের বেলা পুরো সময় ফাঁকা দেখা গেছে। প্রতিষ্ঠান মালিক ও বিক্রয় কর্মীদের দেখা গেছে একেবারেই অলস সময় পার করতে। চটকদার বিজ্ঞাপন, প্রচারণা, মূল্য ছাড়ের নানা অফার দিয়েও ক্রেতাদের আনতে পারছে না পোশাক ক্রয়ের জন্য। তৈরি পোশাকের ক্রেতা একেবারে নেই বললেই চলে। থান কাপড়ের কিছু ক্রেতা  আসলেও তা বিকেল থেকে সন্ধ্যার পরে। অন্যদিকে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বাংলাদেশের স্বনামধন্য পোশাকের ব্র্যান্ড আড়ং, সেইলর, ইজি, পিটার ইংল্যান্ড সহ বিভিন্ন আউটলেটে তৈরি পোশাকের ক্রেতাদের ভির দেখা গেছে সারাদিন। রমজানের শুরু থেকেই এ সকল প্রতিষ্ঠানে বরিশালের সকল ধরনের ক্রেতাদের সমাগম হচ্ছে বলে জানিয়েছে ক্রেতা সহ এসকল প্রতিষ্ঠানের বিক্রয় কর্মীরা। বেচাকেনা ও বেশ ভালই হচ্ছে।
নাগরিক চকবাজার এলাকার একাধিক ব্যবসায়ের সাথে আলাপ করে জানা যায়, ক্রেতাদের ক্রয়ের সামর্থ্য কমেছে। গত  বছরের তুলনায় তা বেশ কমেছে। এমন চললে বরিশালের বাণিজ্যিক এই এলাকার ব্যবসায়ীরা এবছর বড় ক্ষতির সম্মুখীন হবে। তবে ১৫ রমজানের পর থেকে বেচাকেনার পরিস্থিতি পরিবর্তন হবে বলে আশাবাদী তারা।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT