4:08 pm , March 20, 2024
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল নৌ-বন্দরের পন্টুনে থামানো লঞ্চের পাখায় আটকে পড়া জাল ছাড়াতে গিয়ে কাটা পড়ে নিখোঁজ জেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
ঘটনার একদিন পর বুধবার বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে বরিশাল নৌ-বন্দরের পন্টুন সংলগ্ন কীর্তনখোলা নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছেন সদর নৌ-থানার ওসি আব্দুল জলিল।
গত সোমবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বরিশাল নৌ-বন্দরের পন্টুনে থামানো এমভি পারাবাত-১১ লঞ্চের পাখায় আটকে পড়া জাল ছাড়াতে কাটা পড়ে নিখোঁজ হয় বেদে সম্প্রদায়ের জেলে আবেদ আলী (৩০)। সে নগরীর ৯ নম্বর ওয়ার্ড রসুলপুর চরের বাসিন্দা বেদে সর্দার সোহরাব সর্দারের ছেলে। নিহত আবেদ আলী তিনমাস বয়সী কন্যার জনক ছিলেন।
ওসি আব্দুল জলিল জানান, ঘটনার পরপরই নিখোঁজ জেলের একটি কাটা পা উদ্ধার করা হয়। কিন্তুশরীরের অন্যান্য অংশ উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরীরা তল্লাশীও করে। তবে তারা উদ্ধার করতে পারেনি। ঘটনার দুদিন পর লাশ ভেসে উঠে। পরে লাশ উদ্ধার করে বরিশাল শেরই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ওসি জলিল আরো জানান, পা কেটে গেলেও শরীরের অন্যান অংশ অক্ষত রয়েছে। তবে পাখায় কাটা পড়ার জখম রয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান ওসি।
জেলে আবেদের স্ত্রী রুমা জানান, স্বামী আবেদ, সে ও ভাগিনা ইয়াসিনকে নিয়ে কীর্তনখোলা নদীর নৌ-বন্দর এলাকায় জাল ফেলেন। স্রোতের টানে জাল গিয়ে নৌ-বন্দরে থাকা বরিশাল-ঢাকা রুটের এমভি পারাবাত-১১ লঞ্চের ইঞ্জিনের পাখায় আটকে যায়। লঞ্চের পিছনে থাকা এক কর্মচারীকে বলে পাখা থেকে জাল ছাড়াতে যায় স্বামী আবেদ। জাল ছাড়ানোর সময় ইঞ্জিন চালু দেয়। তখন কর্মচারীদের বললেও তারা বলে তাদের করার কিছু নেই।
তবে মরদেহ উদ্ধারের পর স্ত্রী রুমাসহ স্বজনরা জানিয়েছেন, গরীব বিধায় তারা কোন আইনগত ব্যবস্থা নিতে চান না।