4:14 pm , March 18, 2024
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার এক তরুনকে ইটালী নেয়ার উদ্দেশ্যে লিবিয়া নিয়ে মাফিয়া চক্রের কাছে বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগে মামলা হয়েছে। সোমবার বরিশাল মানব পাচার অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছে ওই তরুনের ভাই। ট্রাইব্যুনালের বিচারক মঞ্জুরুল হোসেন মামলা তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য মহানগর পুলিশের এয়ারপোর্ট থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছে।
মামলার বাদী হলেন বাবুগঞ্জ উপজেলার ক্ষুদ্রকাঠি গ্রামের বাসিন্দা আরিফ হোসেন ওমর।
বিবাদীরা হলো- লিবিয়া প্রবাসী বাবুগঞ্জ উপজেলার পাংশা গ্রামের বাসিন্দা হেমায়েত সরদারের ছেলে মো. হাসান সরদার আজম, তার স্ত্রী রিপা বেগম, ভাই করিম সরদার, মাদারীপুর সদর থানার আদমপুর লালখার বাজার এলাকার মো. সাকিব, মো. তুহিন ও মো. মুন্না।
মামলার বরাতে ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী তুহিন মোল্লা জানান, লিবিয়া প্রবাসী আজমের স্ত্রী রিপা বেগমের সাথে পরিচয়ের সুত্র ধরে বাদী আরিফ হোসেন ওমরের আপন ভাই মো. আলমকে ইটালী পাঠানোর প্রস্তাব দেয়। লিবিয়া হয়ে ইটালী পাঠানোর জন্য প্রথমে ৫ লাখ টাকার চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী লিবিয়া যাওয়ার পূর্বে ২০ হাজার টাকা দেয়। ওই টাকা দেয়ার পর ২০২২ সালের ২২ এপ্রিল আলমকে লিবিয়া নেয়া হয়। সেখানে ভাইকে পাঠানোর পর চুক্তি অনুযায়ী ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা রিপা বেগমকে দেয়া হয়।
মামলায় বাদী অভিযোগ করেন, লিবিয়া নেয়ার পর ভাই আলমকে মাফিয়া চক্রের কাছে বিক্রি করে দেয়। মাফিয়া চক্র তাকে একটি কক্ষে আটকে নির্যাতন করে। ভিডিও কলের মাধ্যমে নির্যাতনের দৃশ্য দেখিয়ে প্রথমে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবি করে। ভাইকে রক্ষায় বাড়ি বিক্রি করে মুক্তিপনের টাকা দিতে রাজি হয়। ২০২২ সালের ৫ অক্টোবর থেকে সময় ২০২৩ সালের ১৩ আগষ্ট পর্যন্ত বিভিন্ন সময় মাফিয়া চক্রের কথা বলে ৪৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা নেয়।
মুক্তিপনের টাকা নিয়েও ভাইকে মুক্তি দেয়নি উল্লেখ করে বাদী আশংকা করছে, ভাইকে ভুমধ্য সাগরে নিশ্চিত মৃত্যুর মুখে দিয়ে পর্যায়ক্রমে ৪৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা আত্মসাত করেছে।