3:43 pm , March 15, 2024
বাউফল প্রতিবেদক ॥ পবিত্র রমজানে শুরু হওয়ার পর থেকেই পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার বিভিন্ন নিত্যপণ্যের বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে। এতে বিপাকে পড়েছেন ক্রেতারা। বাউফল উপজেলার কালাইয়া বাজার, পৌরসভা বাজার, বিলবিলাস বাজার, বগা বাজার, নগরেরহাট বাজার, কালিশুরী বাজার, কাছিপাড়া বাজার নূরাইপুর বাজারে গিয়ে দেখা গেছে বিক্রেতা ইচ্ছেমত দাম বাড়িয়ে পণ্য বিক্রি করছেন।
একদিনের ব্যবধানে দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত। বর্তমানে লম্বা বেগুন ৭০ টাকা, মাঝারি ও গোল বেগুন ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া টমেটো ৩০-৪০, গাজর ৫০-৬০ টাকা, পেঁপে ৩০-৪০ টাকা, করলা ৯০-১১০ টাকা, লেবু প্রতিহালি ৫০-৬০ টাকা, শুকনা মরিচ ৪৮০-৫০০ টাকা, প্রতি পিস লাউ (আকারভেদে) ৫০-৬০ টাকা, পটল ১২০ টাকা, দেশি রসুন ১৪০-১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, খোলা চিনি ১৫০-১৬০ টাকা, প্যাকেট আটা আগের মতোই ৬০-৬৫ টাকা, খোলা আটা ৪৮-৫০ টাকা, ছোলাবুট ১০০-১২০ টাকা, প্যাকেট ময়দা ৭০ টাকা, মসুর ডাল (মাঝারি) ১২০ টাকা, চিকন ১৩৫-১৪০ টাকা, মুগডাল ১৭০-১৮০ টাকা ও বুটডাল ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। খেজুর প্রতি কেজি ১৯০-২১০ টাকা। একটু ভালো খেজুর ৩০০-৪৫০ টাকা পর্যন্ত। রোশন প্রতি কেজি ১২০-১৪০ টাকা।
খুচরা বাজারে ব্রয়লার মুরগি ২৩০-২৫০ টাকা, পাকিস্তানি মুরগির দাম বেড়ে ৩২০-৩৫০ টাকা। বাজারে গরুর মাংস ৬৮০ থেকে ৭২০ টাকা ও খাসির মাংস ৮০০-৯০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বোতলজাত সয়াবিন আগের মতোই ১৭৩ টাকা ও দুই লিটার ৩৪৬ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল ১৬০-১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আকারভেদে রুই মাছ ২৫০-৩৫০ টাকা, মৃগেল ২২০-২৫০ টাকা, কার্প ২০০-২২০ টাকা, পাঙাশ ১৯০-২২০ টাকা, তেলাপিয়া ১৫০-১৬০, কাতল ৪০০-৪৫০ টাকা, বাটা ১৬০-১৮০ টাকা, শিং ৪০০-৭০০ টাকা, সিলভার কার্প ১৮০-২৫০ টাকা এবং ইলিশ ৮০০-১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ বশির গাজী বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত অভিযান পরিচালনা করছি। রমজান মাসে অভিযান আরও জোরদার করা হয়েছে। আমরা আগামীকাল থেকে বিভিন্ন হাটে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আরও জোরালোভাবে মোবাইল কোর্টের আওতায় অভিযান চালানো হবে।