4:03 pm , March 12, 2024

মুফতি মাওলানা ডাঃ এম এ ছালাম
খোশ আমদেদ মাহে রমজান। বছর ঘুরে আবার এলো পবিত্র কুরআন নাজিলের মাস মাহে রমজান। পবিত্র মাস আর একবার বিশ্ববাসীর উপর বিস্তার করবে তার বরকতময় ছায়া, রহমতের বারিধারা আমাদের জীবনগুলোকে ¯িœগ্ধ করতে থাকবে। আল্লাহর প্রিয় সৃষ্টির-শ্রেষ্ঠ মানব জাতির কল্যাণ ও মুক্তির সওগাতবাহী মাহে রমজানের গুরুত্ব ও মহত্ব অপরিসীম। স্বয়ং সাইয়্যেদুল মুরসালিন এ মাসকে শাহরুন আযীম এবং শাহরুম মুবারাকুন নামে আখ্যায়িত করেছেন। এ মাসের বরকত ও ফজীলত বর্ণনা করে শেষ করা যাবে না।
সিয়াম সাধনার মাধ্যমে আত্মশুদ্ধি লাভ আর এরই মাধ্যমে নিজেদের কয়েক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এই খোদায়ী সুযোগ গ্রহণ প্রকৃত ভাগ্যবানদেরই কাজ। বস্তুত মানব সৃষ্টির পর থেকে সকল উম্মাহর উপরই সিয়াম সাধনা ফরয ছিল বলে আল কুরআন থেকে আমরা জানতে পেরেছি। এর মানে মানব ইতিহাসের এমন কোন একটি পর্যায় অতিক্রম করেনি যাদের জন্য আল্লাহ সিয়াম সাধনার বিধান দেন নি। মানব জাতির জন্য সিয়ামের গুরুত্ব এই ঐতিহাসিক সত্য থেকেই আমরা উপলব্ধি করতে পারি। ‘সাইয়্যেদুশ মহুর কারণ এটি কুরআন নাযিলের মাস, মাহে রমজান মানব জাতির আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে আত্মউন্নতির এক ঐতিহাসিক খোদায়ী ব্যবস্থার স্মৃতিবাহী মাস। যেমন আল কুরআন ঘোষণা করেছে ‘কামা কুতেবা আলাল্লাযীনা মিন কাবলিকুম’ যেভাবে তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর ফরয করা হয়েছিল। অর্থাৎ সিয়াম সাধনা মানব মাত্রেরই অতি আবশ্যকীয়, অতি জরুরী, করণীয়। যে জন্য আল্লাহ তায়ালা সকল যুগের সকল মানুষের উপর রোজা ফরজ করে দিয়েছেন এবং মানুষের পরিশুদ্ধির বাস্তব ব্যবস্থা করেছেন। (চলবে)