এ নগরীতে নারীরা যখন বাইক চালায় ! এ নগরীতে নারীরা যখন বাইক চালায় ! - ajkerparibartan.com
এ নগরীতে নারীরা যখন বাইক চালায় !

3:24 pm , March 8, 2024

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ নগরীর সিষ্টার ডে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণি পড়–য়া কন্যাকে বাইকের পিছনে নিয়ে এসেছেন বরিশাল কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষিকা আজমেরী পারভীন। উদ্দেশ্যে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত প্রশিক্ষন সেন্টারের র‌্যালিতে অংশ নেয়া। তার মতো আরো অন্তত ৩০/৪০ জন নারী এসেছেন এ র‌্যালিতে অংশ নিতে। ১৫ টি বাইক নিয়ে বরিশাল নগরীতে র‌্যালি করেছেন তারা। এ র‌্যালির আয়োজন করেছে বরিশাল নগরীর ড্রিম বাইকার্স সেন্টার। বরিশাল মডেল স্কুল এন্ড কলেজের সামনে থেকে এ র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি  সিএন্ডবি রোডে গিয়ে শেষ হয়।
র‌্যালির আয়োজক প্রশিক্ষন সেন্টারের প্রশিক্ষক হেনা শ্রাবন বলেন, আজকে একটি বিশেষ দিন আন্তর্জাতিক নারী দিবস। এ দিনটি উপলক্ষ্যে নারীদের নিয়ে একটি রাইড দিয়েছি। একটি ভেন্যুতে গিয়ে শেষ করবো। পরে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া অনুষ্ঠান করা হবে।
হেনা শ্রাবন জানান, তার সেন্টার থেকে ৮ শতাধিক নারীদের বাইক চালনার প্রশিক্ষন দিয়েছেন।
এ র‌্যালিতে অংশ নিতে আসা আজমেরী পারভীন বলেন, প্রত্যেকটা মানুষের শেখা উচিত। কারন এ থেকে ভালো, স্বল্প ও সাশ্রয়ী কিছু হতে পারে না। এতে সময় বাচে, যে কোন কিছুর জন্য কারো জন্য অপেক্ষা করতে হয় না।
অংশগ্রহনকারী বরিশাল সদর উপজেলার কড়াপুর এলাকার একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষিকা নুসরাত জাহান বলেন, ২০১৮ সাল থেকে বাইক চালাচ্ছেন। বাইক চালানো শেখার পর থেকে নগরীর চৌমাথা এলাকার বাসা থেকে নিয়মিতভাবে বাইক চালিয়ে আসা যাওয়া করেন। সাংসারিক, কর্মস্থল যাওয়া আসা, ছেলে-মেয়েদের স্কুলে নেওয়া আনা সমস্ত কাজ বাইকের মাধ্যমে করেন। বাইক তাকে স্বাচ্ছন্দ্য দিচ্ছে। সময় সেইভ করছে।
নগরীর সাগরদী এলাকার বাসিন্দা গৃহিণী শুভ্রা তার কন্যাকে নিয়ে আসেন র‌্যালিতে অংশ নিতে। শুভ্রা বলেন, সখে বাইক চালানো শিখেছেন তিনি। এখন প্রয়োজন হয়েছে। বাইক চালানোর কারনে রিক্সা ও অটোর ব্যয় এখন আর হয় না।
গত তিন বছর ধরে বরিশাল নগরীর বৈদ্যপাড়া থেকে ঝালকাঠির ষাটপাকিয়া স্কুলে আসা যাওয়া করেন শিক্ষিকা তানিয়া তাসনিম। তিনি জানান, এখন নিজের প্রাইভেসী নিয়ে যাতায়াত করি। আগে বাসে যেতাম খুব সমস্যা হতো। সেই রকমভাবে সিট পাওয়া যেত না। সেই সমস্যাগুলো চলে গেছে। এখন স্বাধীনভাবে চলাচল করতে পারি। সময়ও কম লাগে।
বরিশাল ব্রজমোহন কলেজের ছাত্রী ¯েœহা বলেন, সখের বসে বাইক চালানো শিখেছেন। এখন বাইক নিয়ে কলেজে আসা যাওয়া করেন। সময় কম লাগে। যানজটের ঝামেলায় পড়তে হয় না।
নিজের চলাচলের সুবিধার্থে মোটরসাইকেল চালনা শিখেছেন বেসরকারী সংস্থায় কর্মরত জাহানারা রোজী। তিনি বলেন, এখন বাইক চালিয়ে অফিসে আসা-যাওয়া করেন তিনি।
র‌্যা?লি?তে অংশ নেয়া নারীরা কেউ এসেছেন শাড়ি পরে, কেউ টি-শার্ট আর জিন্স, বাকিদের পরনে সালোয়ার কামিজ।  সকলের বক্তব্যে ব?রিশাল নগরীতে শহ?রে সিএনজি আর ব্যাটারীচালিত অটোরিকশা ছাড়া তেমন কোনো গণপরিবহন নেই। অটোরিকশায় গন্তব্যে যেতে ব্যয় যেমন আছে, তেমনি আছে অটোরিকশা চালকদের অপেশাদার আচরণ এবং ভাড়া নিয়ে যাত্রীদের সঙ্গে প্রায়ই ঘট?ছে অনভিপ্রেত ঘটনা।
এ থেকে মুক্তি পেতে অনেক নারী এখন বেছে নিচ্ছেন মোটরসাইকেল। ?কেউ নি?য়ে?ছেন স্ক্রুটি। তাঁরা একে অন্যকে উৎসাহিত করছেন বাইক কিনতে। তাঁরা বলছেন, ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনে অনেক অবদান রাখছে বাইক।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT