4:00 pm , March 2, 2024
বিশেষ প্রতিবেদক ॥ যাত্রাটা ছিলো আচমকা। বরিশাল থেকে ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর বাজার পর্যন্ত কিছুটা ভীত-বিহ্বল বাইক যাত্রা। তারপর পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া বাজার থেকে চরখালী পর্যন্ত আতঙ্কিত পথচলা। তুষখালী পর্যন্ত পৌঁছাতে দশবার থামতে হলো দশটি ঝুকিপূর্ণ লোহার পুল পার হতে। এখানে কয়েকটি পুল অবশ্য ভেঙে নতুন ব্রীজ তৈরির প্রক্রিয়া চলছে। কিন্তু এই সড়কে সবচেয়ে বড় ঝুঁকি প্রতিটি সড়কের বাক বা মোড়। প্রায় শতাধিক মোড় বা বাক বরিশাল থেকে মঠবাড়িয়ার ৯২ কিলোমিটার সড়কে। এরমধ্যে রয়েছে তুষখালী বাজার, বান্ধঘাটা বাজার। এলাকাবাসী জানালেন, দুদিন পরপর এই সড়কে কোনো না কোনো দূর্ঘটনা লেগেই আছে। তাদের দাবী অন্তত বাজার এলাকার বাঁকগুলো সোজা করে সড়ক বর্ধিত করা হোক।
তুষখালী বাজারের ব্যবসায়ী নিজামুদ্দিন ও বান্ধাঘাটা বাজারের ব্যবসায়ী রিপন খান জানালেন, পদ্মা সেতু তৈরির পর থেকে সাফার হরিণা সাফারি পার্ক এবং পাথরঘাটার হরিণা ইকোপার্কের কারণে এই সড়কে এখন পর্যটকদের আনাগোনা দ্বিগুণ বেড়েছে। পিরোজপুর ও খুলনা মহাসড়কের অংশ এই সড়কের প্রস্থ মাত্র ১২ ফিট। পাশাপাশি দুটো বাস পারাপারে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তার উপর এই আচমকা মোড় বা বাক রাতে চলাচলের একদম অনুপযোগী এই সড়ক। তার উপর ৮০ দশকের লোহার পাতের ব্রীজ। যেখানে সেখানে ভেঙে গেছে বলে জানালেন তারা।
তাদের বক্তব্যের সত্যতা পাওয়া গেল মঠবাড়িয়া পৌরসভার আগের পুলটিতেই। চরচাদিকান্দি ফেরীঘাট হয়ে বরগুনা যাবার পথে দুটো লোহার পুল চোখে পড়লো যার অর্ধেক ভাঙা। বাকী অর্ধেক পথে অতি সাবধানে একটা করে গাড়ি পার হচ্ছে। বরগুনা থেকে বরিশাল আসতেও অসংখ্য ঝুকিপূর্ণ মোড়ে থমকে দাঁড়াতে হয় প্রতিটি গাড়িকে। কারণ, বিপরীত দিক থেকে কি আসছে তা দেখা যায়না এই সড়কে। তারউপর পাশাপাশি হলেই দিটো বাস আটকে দিচ্ছে সড়ক।