3:15 pm , February 28, 2024
মুলাদী প্রতিবেদক ॥ মুলাদীতে সরকারি গভীর নলকূপ স্থাপনে অর্ধলাখ টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। উপজেলার মুলাদী সদর ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেছেন কুতুবপুর গ্রামের প্রবাসী শহিদুল ইসলামের স্ত্রী ফারজানা আক্তার। অতিরিক্ত টাকা নিয়ে নি¤œমানের পাইপ দেওয়ার প্রতিবাদ করায় তাকে মঙ্গলবার রাতে গলাটিপে হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন ফারজানা। এ বিষয়ে বুধবার বিকেলে ফারজানা আক্তার বাদী হয়ে ওই ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে মুলাদী থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। মুলাদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন ফারজানা আক্কার জানান, ভালো মানের গভীর নলকূপ দেওয়ার কথা বলে প্রায় ১ বছর আগে ৪৩ হাজার ৫০০ টাকা নেন ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান। দীর্ঘদিন ঘুরিয়ে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি নলকূপ বসানোর কাজ শুরু করেন তিনি। নলকূপ শ্রমিকদের খাবারের জন্য আরও ৮ হাজার টাকা নেন তিনি। নলকূপে নি¤œমানের পাইপ ও মালামাল দেন। এ বিষয়ে জিজ্ঞাসার জন্য গত মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে ইউপি সদস্যের বাড়িতে যান ফারজানা। ওই সময়ে অশ্লীল বাক্য বিনিময়ের একপর্যায়ে ইউপি সদস্য ফারজানার গলাটিপে হত্যাচেষ্টা চালান। পরে বাড়ির লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে রাতেই মুলাদী হাসপাতালে ভর্তি করেন।
মুলাদী হাসপাতালের চিকিৎসক কাজী মাইনুল হোসেন জানান, ফারজানা আক্তারের গলায় গভীর দাগের সৃষ্টি হয়েছে এবং তার কথা বলতে সমস্যা হচ্ছে। তাকে নাক, কান-গলা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য মো. হাবিবুর রহমান হত্যাচেষ্টার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, প্রবাসীর স্ত্রী গভীর নলকূপের জন্য ৪৩৫০০ টাকা দিয়েছিলেন। সরকারি নলকূপ না পাওয়ায় তাকে ব্যাক্তিগত খরচে একটি নলকূপ দেওয়া হয়েছে। শ্রমিকদের কথা শুনে তিনি অযথা বিবাদে জড়িয়ে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন।
মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাকারিয়া জানান, প্রবাসীর স্ত্রী অভিযোগটি তদন্ত করে সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।