3:29 pm , February 26, 2024
পরিবর্তন ডেস্ক ॥ তিস্তা চুক্তি সমস্যার সমাধান হবে এমন আশার বাণী শুনিয়ে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, এ নিয়ে অনেক দূর আলোচনা এগিয়ে রয়েছে। এখন সমাপ্তির জন্য অপেক্ষা করছি আমরা। তিনি বলেছেন, সমগ্র ভারত এখন নির্বাচনমুখী। কাজেই ভারতের এ মুহূর্তে এ নিয়ে কথা বলা বা এ নিয়ে এ মুহূর্তে স্বপ্ন দেখা সমীচীন হবে না। ভারতের নির্বাচন পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন। জাতীয় বস্ত্র দিবস-২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে তিস্তা চুক্তির সমস্যা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। উত্তরে মন্ত্রী নানক বলেন, তিস্তা চুক্তির আগে অনেক বড় বড় সমস্যা দুই সরকারের সদিচ্ছার কারণে, বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কারণে সমাধান হয়েছে। তিনি বলেন, ভারত আমাদের প্রতিবেশী বন্ধু দেশ। ভারতের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্বের সীমারেখা দেওয়া যাবে না। ভারতের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব রক্তের অক্ষরে লেখা আছে। কাজেই ভারতের সঙ্গে যে সমস্যা হয়েছে, আমরা মনে করি সমগ্র ভারত এখন নির্বাচনমুখী। কাজেই এ মুহূর্তে এ নিয়ে কথা বলা বা এ নিয়ে এ মুহূর্তে স্বপ্ন দেখা সমীচীন হবে না। আমি যে কথা বলতে চেয়েছি, আমাদের অপেক্ষা করতে হবে ভারতের এ গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন…, আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। সবাইকে আমি অপেক্ষার জন্য বলেছি। তাহলে কী ভারতের নির্বাচনের আগে আলোচনা হবে না? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, নির্বাচন নিয়ে তারা ব্যস্ত। কিছুদিন আগে আমাদের দেশেও আমরা নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। আমরা কিন্তু তখন কোনো বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে পারিনি। স্বাভাবিকভাবে দেশ, সরকার, দল সবাই নির্বাচনমুখী ছিল। তেমন ভারতের যারা কর্তৃপক্ষ বা রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, তারা নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। তিনি বলেন, আমি এ কথাটাই বলতে চাই, নির্বাচন পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। আমি বিশ্বাস করি তিস্তা চুক্তি সমস্যার সমাধান হবে। এ নিয়ে অনেক দূর আলোচনা এগিয়ে রয়েছে, এখন সমাপ্তির জন্য অপেক্ষা করছি আমরা। জাতীয় বস্ত্র দিবস উদযাপনের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী জানান, ২৭ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) বস্ত্র দিবসের মূল অনুষ্ঠান আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। রাষ্ট্রপাতি মো. সাহাবুদ্দিন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ঘোষণা করার সম্মতি দিয়েছেন। তিনি জানান, অনুষ্ঠানে বস্ত্রখাতের উন্নয়ন, উৎকর্ষতা সাধন, বস্ত্র শিক্ষার সম্প্রসারণ ও রপ্তানি বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখায় ১১টি অ্যাসোসিয়েশন/প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা স্মারক দেওয়া হবে। এরমধ্যে রয়েছে- বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ), বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ), বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ), বাংলাদেশ টেরিটাওয়েল অ্যান্ড লিলেন ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড অ্যাক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিটিটিএলএমইএ), বাংলাদেশ কটন অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএ), বাংলাদেশ গার্মেন্টস্ বায়িং হাউজ অ্যাসোসিয়েশন (বিজিবিএ), বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যাকসেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএপিএমইএ), বাংলাদেশ স্পেশালাইজড টেক্সটাইল মিলস্ অ্যান্ড পাওয়ার লুম ইন্ডাস্টিজ অ্যাসোসিয়েশন (বিএসটিএমপিআইএ), বাংলাদেশ এমব্রয়ডারি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সসোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিইএমইএ), বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় (বুটেক্স) এবং বাংলাদেশ জাতীয় তাঁতি সমিতি।