কীর্তনখোলা নদী থেকে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে চলছে বালু উত্তোলন কীর্তনখোলা নদী থেকে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে চলছে বালু উত্তোলন - ajkerparibartan.com
কীর্তনখোলা নদী থেকে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে চলছে বালু উত্তোলন

3:11 pm , February 19, 2024

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ কীর্তনখোলা নদীতে সদর উপজেলার চরমোনাই দরবার শরীফের পশ্চিম পাশে এবং বেলতলা টাওয়ারের নিচে ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় থামছে না অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন।  প্রভাবশালীরা, উপজেলার কীর্তনখোলা নদী থেকে প্রতিনিয়ত বালু উত্তোলন করে। ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন অবৈধ হলেও নির্ভয়ে বিরতিহীন ভাবে বালু ব্যবসায়ীরা চালিয়ে যাচ্ছে তাদের কর্মযজ্ঞ। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বরিশাল সদর উপজেলার চরমোনাই ইউনিয়নের গিলাতলী, চরবাড়ীয়া, পশুরীকাঠী মৌজার কীর্তনখোলা নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন করা হয়।  চরমোনাই ইউনিয়নের রেজা ও জিয়া, নগরীর বেলতলা এলাকার- কালু,নয়ন, সুজন, বুখাইনগরের লিমন, শায়েস্তাবাদ এলাকার বাচ্চু মিয়া, ওমর আলী, চরকাউয়া এলাকার রাসেল, তারেক, রিয়াজ মোল্লা অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে। তাদের ৩/৪টি ড্রেজার দিয়ে প্রতিদিন ২৫/৩০ টি বাল্বহেড বালু উত্তোলন করে। এর ফলে, নদীর দুই পাশে মাটি ধসে বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এভাবে বালু উত্তোলন চলতে থাকলে নদীর তীর ও কৃষি জমি চরম ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে বলে আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানান, ড্রেজার মালিকরা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ কিছু বলে না, প্রশাসনও অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে উল্লেখযোগ্য কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না। বরিশাল সদর উপজেলার এই ড্রেজার চক্র অনেক প্রভাবশালী। স্থানীয়রা আরও জানান, সবার চোখের সামনে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন চলছে। কৃষি জমি ও নদ-নদী ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। প্রশাসন ড্রেজার দিয়ে দ্রুত মাটি কাটা বন্ধ না করলে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের উপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে।  এ ব্যাপরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহাবুব উল্লাহ মজুমদার সাংবাদিকদের জানান, ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করা অবৈধ। উপজেলার কীর্তনখোলা নদীতে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের ব্যাপারে আমি অবগত ছিলাম না। সুনির্দিষ্ট তথ্য পেলে অবশ্যই কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। এক্ষেত্রে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT