3:45 pm , February 18, 2024

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারী ঢাকায় গুলী বর্ষণের তিনদিন পরে বরিশালে প্রথম শহীদ মিনার নির্মিত হয়। এই শহীদ মিনারটি ছিল অস্থায়ী ও ইট বাশ দিয়ে তৈরী করা।ভাষা আন্দোলন বরিশাল অঞ্চল বইতে এই বিষয়ে উল্লেখ করা হয় যে, ইট, বাশ, বক্স ও কাপড় দিয়ে তৈরী প্রথম শহীদ মিনার নির্মানে বরিশালের চকবাজারের ব্যবসায়ীরা সহযোগিতা করতে এগিয়ে আসেন। চক বাজারের ব্যবসায়ী সুলতান মিয়া ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে কাপড়, ও চায়ের বাক্স সংগ্রহ করেন।২৫ ফেব্রুয়ারী ভোরে অশ্বিনী কুমার হলের সামনে এই অস্থায়ী শহীদ মিনার নির্মান শেষ হয় । এই সময়ে শোকের প্রতীক কালো পতাকা ও আন্দোলনের প্রতীক লাল কাপড় টানিয়ে দেয়া হয়। শহীদ মিনার নির্মানে যারা যুক্ত ছিলেন তারা হলেন রাস্ট্র ভাষা সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক আবুল হাশেম, মোরশারফ হোসেন মোচন, জাহিদ হোসেন জাহাঙ্গীর, চকবাজারের সুলতান মিয়া,, নুরুল ইসলাম খান সুলতান, হাসান ইমাম চৌধুরী প্রমুখ। শহীদ মিার নির্মানে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন যুবলীগ নেতা মোহাম্মদ ইমাদুল্লাহ। শহীদ মিার নির্মান হলে সংগ্রাম কমিটির আহবায়ক আবুল হাশেম প্রথম ফুলের শ্রদ্ধা জানান। পরে হাজার হাজার জনতা প্রথম অস্থায়ী শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা প্রদর্শণ করেন। ২৫ শে ফেব্রুয়ারী ভাষা সৈনিক আলী আশরাফ ও এ বিএম লতিফ শহীদের রক্ত মাখা কাপড় অশ্বিনী কুমার হলের সামনে নিয়ে আসলে হাজারো ছাত্র জনতা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। তারা শ্লোগান দেয় ’ শহীদের রক্ত বৃথা যেতে দেবনা’’ খুনী নুরুল আমিনের ফাসি চাই’ । এর ২ দিন পরে ২৭ ফেব্রুয়ারী রাতে অন্ধকারে শহীদ মিনার ভেঙ্গে ফেলে পাকিস্তানী জান্তা সরকার।২১ ফেব্রুয়ারী গুলী বর্ষণের সংবাদ রাতে বরিশাল এসে পৌছার পর পরই বরিশালের আপাময় জনসাধারণ ক্রোধে ফেটে পড়ে। পরের দিন ২২ ফেব্রুয়ারী বিপুল সংখ্যক ছাত্র জনতা অশ্বিনী কুমার হলের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করে। সেই বিক্ষোভ সমাবেশে স্কুলের ছাত্ররা এমনকি নারীরাও অভূতপূর্বভাবে যোগ দেন।