4:01 pm , February 17, 2024
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ নগরীর কাশিপুরে মাদ্রাসা শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রের মাকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ভিকটিম বাদী হয়ে র্ধষক মুবিনুল ইসলাম কে আসামী করে এয়ারপোর্ট থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ আসামীকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করেছে। ন্যাক্কারজনক এ ঘটনাটি ঘটেছে কাশিপুরের পোস্ট অফিস সংলগ্ন দারুসুল কুরআন একাডেমি হাফেজিয়া মাদ্রাসায়। আসামী মুবিনুল ইসলাম ওই মাদ্রাসার শিক্ষক ও পরিচালক। তিনি বরগুনা জেলার বামনা উপজেলার বাসিন্দা হলেও কাশিপুরের ইছাকাঠিতে বসবাস করতেন। ইতিমধ্যে ভিকটিমের মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালে বাদীর প্রথম বিয়ে হয়। ওই সংসারে বাদীর একটি ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। ছেলের বয়স যখন ৮ মাস তখন স্বামীর সাথে তার বিচ্ছেদ ঘটে। প্রথমে ছেলে বাদীর কাছে থাকলেও কিছু দিন ছেলের বাবা ছেলেকে তার কাছে নিয়ে যায়। পরে বাদী আর তার ছেলেকে নিজের কাছে ফেরত আনতে পারেনি। অনেক বছর পর বাদী লোক মারফত জানতে পারে তার ছেলে কশিপুরের দারুসুল কুরআন একাডেমি হাফেজিয়া মাদ্রাসায় পড়াশুনা করছে। এই খবর পেয়ে ছেলের সাথে দেখা করতে মাদ্রাসার পরিচালকের সাথে ফোনে কথা বলেন বাদী। পরে মাদ্রাসার পরিচালক মুবিনুল ইসলাম কে অনুরোধ করলে ছেলের সাথে বাদীকে মাদ্রাসায় তার নিজের কক্ষে বসিয়ে দেখা করতে দেয়া হয়। কিন্তু পরিচালক মুবিনুল বাদীকে জানান ‘ছেলের বাবা বাদীর সাথে দেখা করতে নিষেধ করেছে। এক পর্যায়ে ছেলের সাথে দেখা করিয়ে দেওয়ার সুযোগটি নেয় পরিচালক মুবিনুল। সে বাদীকে তার নিজের রুমে প্রবেশ করিয়ে দরজা বন্ধ করে জোর পূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। কিন্তু সে সময় ব্যর্থ হয়। তবে এ ঘটনা কাউকে বললে ছেলের সাথে আর দেখা করিয়ে দেবে না বলে হুমকি প্রদান করে। এরপর আসামী উক্ত ঘটনার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে এবং নিজেকে অবিবাহিত দাবী করে বাদীকে বিয়ে করবে বলে আশ^াস দেয়। ২০২৩ সালের আসামী তার রুমে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এরপর ে থকে বাদী যতবারই ছেলের সাথে দেখা করতে মাদ্রাসায় যেত ততবারই আসামী বাদীকে ধর্ষণ করত এবং এই দৃশ্য মোবাইলে ধারন করত। বাদী আসামীর সাথে মেলামেশা করতে রাজি না হলে মোবাইলে ধারনকৃত ভিডিও এবং ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিত আসামী। সবশেষ গত ২৭ জানুয়ারী বাদীকে মাদ্রাসায় নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং তাকে বিয়ে করবেনা বলে জানিয়ে দেয়। এরপরই বাদী মামলা দায়ের করেন।মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এয়ারপোর্ট থানার উপ পরিদর্শক সগীর হোসেন বলেন, মামলার তদন্ত কাজ চলমান আছে। আসামী ১৬১ ধারায় জবানবন্দীতে নিজের অপকর্মের কথা স্বীকার করেছেন।বর্তমানে আসামী মুবিনুল ইসলাম তার প্রথম স্ত্রীকে অস্বীকার করেছেন। দুজনের কথোপকথনে শোনা গেছে মুবিনুল তার প্রথম স্ত্রীকে বলছেন ‘তাকে তিনি বিয়েই করেননি। অপর দিকে তার স্ত্রী বলছেন ‘ বিগত সাড়ে ৪ বছর ধরে তোমার সাথে আমি সংসার করছি। এ সংক্রান্ত কথপোকথন আজকের পরিবর্তনের কাছে সংরক্ষিত আছে।অনুসন্ধানে জানা গেছে মুবিনুল এভাবে অনেক নারীর সাথে সংস্পর্ক স্থাপন করেছে। কারো কারো কাছ থেকে বিপুল পরিমান অর্থ সম্পদ হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি।