4:12 pm , February 13, 2024
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ গৌরনদীতে পরিত্যক্ত বাথরুমে পড়ে থাকা ককটেল উদ্ধার করতে গিয়ে বিস্ফোরনে দুই পুলিশসহ তিনজন আহত হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় গৌরনদী পৌর এলাকার ২ নম্বর ওয়ার্ডের বড় কসবা হাওলাদার বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটেছে। আহতরা হলো-গৌরনদী মডেল থানার এসআই কামাল হোসেন, ওয়াচার কনষ্টেবল মো. মিজান ও বাড়ির মালিক রাজু হাওলাদারের ছেলে মাসুম হাওলাদার (৩৫)।
গৌরনদী ফায়ার সার্ভিসের ষ্টেশন অফিসার বিপুল হোসেন বলেন, সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে খবর পাই বড় কসবা ইসলামিয়া মিশনের পিছনে একটি বাড়ীর বাথরুমে পরিত্যক্ত অবস্থায় বাজারের ব্যাগে ককটেল সদৃশ্য বস্তু দেখতে পেয়েছে। পরে বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করে বাড়ির মালিক। পুলিশ গিয়ে বাড়ির মালিককে বাজারের ব্যাগ বের করতে বলে। বাড়ির মালিক ব্যাগ বের করার সময় ককটেল বিস্ফোরিত হয়। এতে দুই পুলিশসহ বাড়ির মালিক আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে দুই জনকে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এসআই কামালকে বরিশাল শেরই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
গৌরনদী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাজাহারুল ইসলাম বলেন, মাসুম হাওলাদারের ঘর থেকে ১৫/২০ গজ দুরত্বে একটি বাথরুম রয়েছে। সকালে দেখতে পায় বাথরুমে তালা দেয়া। তখন প্রতিবেশি কেউ তালা দিয়েছে কিনা জানতে চেয়ে তালা বেঙ্গে ফেলে। পরে বাথরুমের মধ্যে একটি বাজারের ব্যাগ দেখতে পায়। বাজারের ব্যাগের মধ্যে লাল টেপ পেচানো তিনটি ককটেল সদৃশ্য বস্তু দেখতে পায়।
পরিদর্শক মাজাহার বলেন, তখন ৯৯৯ কল করে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গিয়ে ককটেল সদৃশ্য বস্তু উদ্ধারের সময় বিস্ফোরিত হয়। এতে এসআই কামাল ও বাড়ির মালিক মাসুম স্প্রীন্টার বিদ্ধ হয়েছেন। এছাড়াও আহত হয়েছেন কনস্টেবল মিজান। বিকট শব্দে তিনজন কানে কম শুনতে পাচ্ছেন। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পরিদর্শক বলেন, এ ঘটনা তদন্ত করে পরবর্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মাসুম হাওলাদারের বোন কানিজ ফাতেমার অভিযোগ পুলিশ তার ভাইকে দিয়ে ককটেল উদ্ধার করতে গিয়েছে। এই জন্য ককটেল বিস্ফোরন হয়েছে। তিনি এ ঘটনার বিচার দাবী করেছেন।
বরিশাল শেরই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারী ইউনিট-৪ এর সহকারী রেজিষ্টার ডা. আজিজুর রহমান জানান, আহতরা তাদের তত্ত্বাবধানের রয়েছেন। তাদের পর্যবেক্ষন করা হচ্ছে। আপাতত ঢাকা পাঠানো হবে না। যদি মনে হয় পাঠানো হবে।
গৌরনদী থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, একেকজন একেক সংখ্যা বলে। কেউ বলে তিনটা, কেউ বলে পাঁচটি। কেউ ১৫/২০টির কথাও বলছে। যেহেতু সব বিস্ফোরিত হয়েছে। সঠিক সংখ্যা বলা যাচ্ছে না। তদন্ত করে দেখছি।
