4:17 pm , February 10, 2024

রিয়াদ মাহমুদ সিকদার, কাউখালী ॥ পিরোজপুরের কাউখালীতে নির্মাণের জন্য ফেলে রাখা ইটের খোয়া, বালু উড়ছে। সেই বালু ঢুকছে পথচারীদের নাকে-মুখে ও বাসা বাড়ির ভিতরে। রাস্তা খুঁড়ে ও একটি ব্রিজ ভেঙ্গে মাটি খনন করে ফেলে রাখায় পানি জমে সেখানে এখন মশাদের পোকা মাকড়ের বসবাস । এই দূরাবস্থা কাউখালী উপজেলার চিড়াপাড়া কেন্দ্রীয় আলিম মাদ্রাসার সামনে গুচ্ছগ্রাম-ডুমজুরী সড়কের। ঠিকাদার কাজ শেষ না করায় সড়কটি দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে চার গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ ভোগান্তি পোহাচ্ছে। বেশি সমস্যা হচ্ছে কাউখালী কেন্দ্রীয় আলিম মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদেরে ও গুচ্ছগ্রাম ও আবাসনের মানুষদের। উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চিরাপাড়া ইউনিয়নের পানঘর টল শেডের সামনে কালভার্ট থেকে কেন্দ্রীয় আলিম মাদ্রাসার সামনে থেকে গুচ্ছগ্রাম, আবাসন হয়ে ডুমজুড়ি গ্রাম পর্যন্ত ৯০০মিটার কার্পেটিং সড়ক এবং দুইটি বক্স-কালভার্ট নির্মাণের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়। গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের (আইআরআইডিপি) আওতায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এই দরপত্র আহ্বান করে। ১কোটি ৩১ লাখ ৪২ হাজার ৯২৭ টাকায় কাজটি পায় ফয়সাল এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করা তো দূরের কথা এক বছর অতিবাহিত হলেও কাজ ঠিকভাবে শুরুই করতে পারেননি ঠিকাদার। উপরন্তু এই সময়ে শুধু গুচ্ছগ্রামের মসজিদের সামনের কালভার্ট নির্মাণ করার জন্য ছোট আয়রন ব্রিজটি ভেঙ্গে সেখানে মাটি খনন করে রেখে ফেলে রাখায় এক বছর অতিবাহিত হওয়ায় পানি জমে সেখানে ডেঙ্গু মশার প্রজনন সৃষ্টি হয়েছে। রাস্তার কার্পেটিং তো দূরের কথা পুরাতন রাস্তার ইট তুলে রাতের আঁধারে তা কে বা কারা অন্যত্র নিয়ে যায়।
কাউখালী কেন্দ্রীয় আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা হোসাইন আহমেদ বলেন, আমাদের এই দুর্ভোগ দূর হতে আর কত বছর লাগবে, বাতাসে বালু উড়ে চোখ ও মুখে পড়ছে। মাদ্রাসায় যাওয়ার আয়রন ব্রিজটার অবস্থা খুবই নাজুক, রাস্তা খুড়ে রাখার কারণে মাদ্রাসার ছাত্র ছাত্রীদের জুতা হাতে নিয়েই চলতে হচ্ছে। ভ্যানচালক গুচ্ছগ্রামের সোলেমান ফরাজী বলেন, ‘এই রাস্তার ওপর দিয়ে মানুষ ঠিকমতো হাঁটতে পারে না। উত্তর চিরাপাড়ার বাসিন্দা ইলিয়াস হাওলাদার বলেন, সড়কের পাশে কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও জনবহুল গ্রাম আছে। নির্মাণকাজ শেষ না হওয়ায় শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীদের ওই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। চিরাপারা-পারসাতুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লাইকুজ্জামান মিন্টু বলেন, এক বছর ধরে কাজ ফেলে রাখায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সড়কটির কাজ শেষ করার জন্য ঠিকাদারকে একাধিকবার অনুরোধ করেছি। ঠিকাদারের পক্ষে কাজ বাস্তবায়ন করছেন সঞ্জিত কুমার সাহা। তিনি জানান, দুই-একদিনের মধ্যে কালভার্ট এর কাজ শুরু করা হবে। এলজিইডি কাউখালী উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ ইমতিয়াজ হোসাইন রাসেল বলেন, আমি নতুন যোগদান করেছি। ঠিকাদারকে জরুরি ভিত্তিতে কাজটি করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছি। আশা করি কিছুদিনের মধ্যে সড়কটির সংষ্কার কাজ সমাপ্ত হয়ে যাবে।