3:52 pm , February 9, 2024

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল নগরীতে গত সপ্তাহের তুলনায় বাজারে প্রায় সব সবজির দামই কমেছে। তবে একই সময়ের তুলনায় পেঁয়াজের দামে যেন লং জাম্প! এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে পেঁয়াজের দাম এক লাফে ৩০ টাকা বেড়ে গেছে। গত শুক্রবার যে মানের পেঁয়াজ ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে, তা গতকাল শুক্রবার ছিলো ১২০ টাকা। রমজানের আগে পেঁয়াজের দাম কমার কোনও সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। বরং তারা বলছেন, দাম আরও বেড়ে যেতেও পারে।গতকাল শুক্রবার নগরীর বাজার ঘুরে ক্রেতাদের সাথে কথা বলে সবজি নিয়ে সস্তির কথা শোনা গেলেও পেঁয়াজের দাম নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা।গতকাল লাল ও সাদা আলু ৩৫ টাকার পাশাপাশি ৩ কেচি ১০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এক্ষেত্রে গত সপ্তাহের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায় গতকাল আলুর দাম কমেছে ৫ টাকা।নাম প্রকাশ না করার শর্তে নগরীর কাউনিয়া এলাকার এক পেঁয়াজ বিক্রেতা বলেন, পেঁয়াজের দাম ভালোই বাড়তির দিকে। গত শুক্রবার যেটা ৯০ টাকা বিক্রি করেছি, সেটা এখন সেটা ১২০ টাকা। আমাদের হাতে কিছু নাই। আমরা খুচরা বিক্রি করি। আমরা যে দামে আনি সেখান থেকে লাভ রেখে বিক্রি করি।রোজার আগে দাম কমবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, রোজার আগে দাম কমার কোনও সম্ভাবনা দেখি না।উল্টো বাড়তে পারে।আরেক বিক্রেতা বলেন, যখন নতুন পেঁয়াজ উঠে তখন সেগুলো কাঁচা থাকে।তাই দাম কম থাকে।এখন পেঁয়াজ শুকনো হয়েছে তাই দাম বাড়ছে। আরও দাম বাড়বে।বাজারে আলু-পেঁয়াজ কিনতে এসে কাওসার হোসেন নামের বেসরকারি চাকরিজীবী বলেন, আমি আসলে পেঁয়াজের দাম বাড়ার কোনও কারণই খুঁজে পাই না। পেঁয়াজের সিজন চলে গেলো, কিন্তু দাম কমলো না। অদ্ভুত একটা অবস্থা পার করছি!।গতকাল বাজারে শিম ৫০-৬০ টাকা, শালগম ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কাঁচা টমেটো ৪০ টাকা, টমেটো ৫০ টাকা, পেঁয়াজ কলি ৪০ টাকা, সাদা মূলা ৪০ টাকা, দেশি গাজর ৪০ টাকা, লম্বা বেগুন ৬০ টাকা, শসা ৬০ টাকা করে বিক্রি করতে দেখা গেছে। দেখা যায় প্রায় সব সবজির দামই কমেছে কেজিপ্রতি ১০ টাকা থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত।সবজি বিক্রেতা মো. কালাম বলেন, গত সপ্তাহের থেকে বর্তমানে সব সবজির দামই কমে গিয়েছে। দাম কমলে আসলে ক্রেতাদের যেমন সুবিধা হয় তেমনি আমাদেরও সুবিধা হয়। কোনও সবজি যদি আমরা ৫০ টাকায় কিনি সেটা আমরা অনায়াসেই ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি করতে পারি। কিন্তু কোনও সবজি যদি ৮০ টাকায় কিনি সেটা ১০০ টাকায় বিক্রি করা কঠিন হয়ে যায়।আরেক বিক্রেতা খোকন বলেন, দাম কম থাকলে আমরা বেশি বিক্রি করতে পারি, লাভও হয় বেশি। কিন্তু দাম বেশি থাকলে মানুষ কেনেই কম। তখন লাভ করা কঠিন হয়ে পড়ে।বেসরকারি এক চাকরিজীবী বলেন, সবজির দাম অনেকটাই কমে এসেছে।এটা একটা ভালো ব্যাপার। কিন্তু আমাদের বাজারের ওপর তো ভরসা করা যায় না। আজ দাম কম আছে। কালই এসে দেখবেন দাম বেড়ে গিয়েছে। কোনও কিছুরই ঠিক ঠিকানা নাই।এদিকে বাজারে মুরগির দাম কিছুটা কমেছে। ব্রয়লার মুরগি ১৯০ টাকার পরিবর্তে ১৮০ টাকা, কক মুরগি ২৯০ টাকার পরিবর্তে ২৮০ টাকা, সোনালী মুরগি ২৯০ টাকার পরিবর্তে ২৮০ টাকা দড়ে বিক্রি হচ্ছে। অর্থাৎ গত সপ্তাহের তুলনায় মুরগির মাংসের দাম কেজি প্রতি ১০ টাকা করে কমেছে। এছাড়া গরুর মাংস ৭৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।