যৌতুকের দাবীতে স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় জেলে পল্লী চিকিৎসক যৌতুকের দাবীতে স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় জেলে পল্লী চিকিৎসক - ajkerparibartan.com
যৌতুকের দাবীতে স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় জেলে পল্লী চিকিৎসক

3:43 pm , February 8, 2024

লালমোহন প্রতিবেদক ॥ ভোলার লালমোহনে যৌতুকের কারণে স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে এক পল্লী চিকিৎসককে। উপজেলার লর্ডহার্ডিঞ্জ নতুন বাজারের ঔষধের দোকানদার মো. রাছেল এর বিরুদ্ধে ৪ ফেব্রুয়ারি লালমোহন থানায় মামলা দায়ের করে তার স্ত্রী জানা-ই কাজরীলতা রতœা। স্ত্রীকে নির্যাতন ও যৌতুক দাবী করায় রতœা এই মামলা করেন। মামলায় স্বামী রাছেলের বাবা মো. শাজাহান, ভাই রাফেজ সহ আরো দুজনকে বিবাদী করা হয়েছে। মামলার পর লালমোহন থানা পুলিশ রাছেলকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করলে জেল হাজতে পাঠানো হয়। এছাড়া আদালতে হাজির হতে গেলে রাছেলের বাবা ও ভাইকেও জেল হাজতে পাঠানো হয়।
জানা গেছে, লালমোহন পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের মো. কাজল মিয়ার মেয়ে রতœাকে ২০১৮ সালে লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের শাহজাহানের ছেলে রাছেলের সাথে বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের পর তাদের রুহি নামে এক সন্তানও জন্ম নেয়। কিন্তু রাছেল পরবর্তীতে তার বাবা ও ছোট ভাইয়ের প্ররোচনায় রতœার মায়ের নামে পৌরসভায় থাকা ভিটা রাছেলের নামে লিখে নিতে চাপ প্রয়োগ করে। এতে রাজী না হলে রতœার উপর নির্যাতন শুরু হয়। রাছেল মোবাইল ফোনে বিভিন্ন নারীদের সাথে আপত্তীকর কথোপকথন চালিয়ে আসছে বলেও রতœা অভিযোগ করে। এসব কথোপকথনের স্ক্রীণ সর্ট ও বিভিন্ন নারীদের সাথে ছবি রাছেলের মোবাইল ফোন থেকে উদ্ধার করে রতœা। যার কারণে রতœাকে গত ৩ বছর ধরে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছে রাছেল। অভিযুক্ত রাছেল গরম পানি দিয়েও ঝলসে দেয় রতœার হাত। এই নির্যাতনে জখম হয়ে কয়েকদফা লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয় রতœা। নির্যাতনের কারণে রতœা শিশু কন্যাকে নিয়ে তার বাবার বাড়ি চলে আসলে রাছেল গত ৩ ফেব্রুয়ারি এসে ঝগড়া সৃস্টি করে। এক পর্যায়ে রতœাকে মারপিট করে রাছেল। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করে রতœা।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT