4:28 pm , February 6, 2024

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ ক্যাডেট কলেজ ভর্তি পরীক্ষায় সাফল্যের ধারা অব্যাহত রেখেছে শাহীন শিক্ষা পরিবার বরিশাল শাখা। ২০০৬ সালে শাহীন শিক্ষা পরিবার বরিশাল শাখার কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর থেকে এবার এসেছে অভাবনীয় সাফল্য যা অন্যান্য বছরের তুলনায় সবচেয়ে বেশি।
এবছর বরিশাল ক্যাডেট কলেজ কেন্দ্র থেকে মোট ৮৪৩ জন শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়। এরমধ্যে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ন হয় সর্বমোট ৬৩ জন শিক্ষার্থী। এই ৬৩ জনের মধ্যে ৫৬ জনই শাহীন শিক্ষা পরিবার বরিশাল শাখা থেকে চান্স পেয়েছে। এরমধ্যে ছেলে ৫১, মেয়ে ০৫ জন। চান্সপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী নাওমি আনহা’র (সদর গার্লস) মা- পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) অ্যানিমেল সাইন্স অ্যান্ড ভেটিরিনারি মেডেসিন অনুষদের- অ্যানিমেল জেনিটিক্স অ্যান্ড ব্রিডিং বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর ড. কাজী শারমিন আক্তার এবং বাবা একই বিশ^বিদ্যালয়ের উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড.কে.এম.এ তারেক বলেন, শাহিন শিক্ষা পরিবার বরিশাল শাখার পরিচালক ও শিক্ষকদের নিবিড় পরিচর্যা ও আন্তরিক প্রচেষ্টার কারণে আল্লাহর রহমতে আমার সন্তান ক্যাডেট কলেজে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। শাহীন শিক্ষা পরিবারের শিক্ষাদান পদ্ধতি বেষ্ট।
চান্সপ্রাপ্ত আরেক শিক্ষার্থী শাদমান সাকিব সারাফের (বরিশাল জিলা স্কুল) মা মেহেরুন আফরোজ জিমি বলেন, সন্তানের এমন ভালো ফলাফলের অধিকাংশ কৃতিত্ব শাহিন শিক্ষা পরিবারের। এখানকার পরিচালক ও শিক্ষকদের নিবিড় তত্ত্বাবধানের কারণে আমার সন্তান এবার ক্যাডেট কলেজে ভর্তির প্রাথমিক ধাপ হিসেবে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। রুটিন মাফিক পড়াশোনা, সাপ্তাহিক পরীক্ষা ও সঠিক শিক্ষাদানে বরিশালে শাহীন শিক্ষা পরিবারের বিকল্প নেই। আমরা সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ।
শাহীন শিক্ষা পরিবার বরিশাল শাখার পরিচালক মনসুর রহমান ও আরিফুল ইসলাম বলেন, শাহিন শিক্ষা পরিবারে ভর্তি হওয়া প্রত্যেক শিক্ষার্থীর প্রতি আমাদের নিবিড় পর্যবেক্ষণ থাকে। শিক্ষার্থীদের পাঠদানের পাশাপাশি যোগ্য হিসেবে গড়ে তুলতে আমাদের প্রশিক্ষিত শিক্ষকরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। শিক্ষার্থীদের পরিশ্রম, অভিভাবকদের গঠনমূলক পরামর্শ এবং শাহীন শিক্ষা পরিবারের সঠিক গাইড লাইন মিলে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই সাফল্য অর্জন করা সম্ভব হয়েছে।
তারা বলেন, শাহীন শিক্ষা পরিবার বরিশাল শাখায় কোচিং করেও যারা ক্যাডেট কলেজ ভর্তি পরীক্ষায় চান্স পায়নি তাদের যে একাডেমিক বেইজ তৈরি হয়েছে, তা তাদের পরবর্তী শিক্ষা জীবনে উন্নতির সোপান হিসেবে কাজ করবে।