3:52 pm , February 6, 2024
মো. আফজাল হোসেন, মনপুরা থেকে ফিরে ॥ ভোলার চরফ্যাশন টু মনপুরা রুটের খেয়া পারাপারে জিম্মি সাধারণ মানুষ। চরফ্যাসনে বেতুয়া নতুন স্লুইসগেট খেয়াঘাটে মেঘনা নদী পারাপারে ইজারাদারদের কাছে রীতিমতো জিম্মিই না ক্ষমতা দেখিয়ে চলছে চরম জুলুম। যাত্রীদের কাছ থেকে জোরপূর্বক অতিরিক্ত টোল ও ভাড়া আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। প্রতিবাদে নেমে আসে হুমকি আর নির্যাতন।
মনপুরার জনতা বাজার ঘাটে আসলেই দেখা যায়, কোন পন্টুন নেই কিংবা যাত্রী উঠার মত কোন ব্যবস্থা নেই। লঞ্চ রয়েছে নদীর মাঝে। ঘাটে মোটরসাইকেল নিয়ে পার হতে আসা যাত্রীদের সাথে ট্রলার স্টাফ এবং ঘাট ইজারাদারদের সাথে তুমুল হট্টগোল হচ্ছে। এই ট্রলারে করেই লঞ্চে উঠতে হবে। এজন্য ঘাটে দিতে হবে মোটরসাইকেল প্রতি ২শ আর ট্রলারে ১শ, লঞ্চ ভাড়া ১৫০ টাকা। একইভাবে চরফ্যাশন এসে নতুন স্লুইজঘাটে তো আরো খারাপ অবস্থা। অগ্রিম টাকা দিলে ঘাট ইজারাদারদের ইশারায় লেবাররা মোটরসাইকেল ধরতে রাজী হয়। সেখানেও ঘাটে ২শ এবং লেবারকে ১৫০ টাকা দিতেই হবে। এর সাথে মোটরসাইকেল মালিকের ভাড়া আলাদা। তাকে লঞ্চ ভাড়া বাবদ ১৩০ টাকা। কোন প্রতিবাদ করলে ঘাট ইজারাদার ও লেবারদের হাতে চরমভাবে লাঞ্ছিত হতে হচ্ছে। যাত্রীদের ব্যাগ টেনে ধরে আদায় করা হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা। মূলত নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ইচ্ছেমতো খেয়া পরিচালনা করছেন ইজারাদার আর লঞ্চ মালিকরা। সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে তারা যা করছে সেটাই নিয়ম। খেয়া পারাপারের জন্য যাত্রীরা নির্ধারিত টোল দিতে চাইলে টোল আদায়কারীরা খারাপ ব্যবহার করছেন। অভিযোগ রয়েছে এরা ক্ষমতাসীন দলের লোক হওয়ায় প্রতিবাদ করেনা করেনা কেই এমনটাই অভিযোগ মো: মাইনুল, শাহীন, লুৎফুর নাহার ও রাবেয়া বেগমের। মোটরসাইকেল মালিক মাইনুল বলেন, একটি মোটরসাইকেল পার করতে সাথে একজনসহ ১ হাজার টাকা খরচ হয়। তা হলে কেন আমরা মনপুরা ঘুরতে যাব। ৫ বন্ধু মোরসাইকেল নিয়ে গিয়ে আমাদের চরম শিক্ষা হয়েছে। খেয়াঘাটের ইজারাদাররা প্রভাবশালী হওয়ায় যাত্রীদের রীতিমতো জিম্মি করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছেন।
এ বিষয় এমবি মাসুমা লঞ্চের মালিক মো: গিয়াস উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমরা যাত্রী পারাপার করার জন্য লঞ্চ এনেছি। স্প্রীডবোট চালালে তো আমাদের লোকসান হবে। তাই ওদের কাছ থেকে লঞ্চ ভাড়া নিয়ে নিচ্ছি। আর পানি কম থাকায় ট্রলারে করে যাত্রী উঠানো হয়।
অপর স্লুইজগেট এর ইজারাদার নূরে আলম মাস্টার বলেন, আসলে এতো বেশি নেয়ার কথা নয়। খোঁজ নেয়া হয়নি অনেক দিন। আজই খোঁজ খবর নিচ্ছি। আর বলে দিব যাতে হয়রানী না করা হয়।
চরফ্যাশন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা নওরীন হক বলেন, এর আগে আপনার মত কেউ অভিযোগ করেনি। আপনিই প্রথম সমস্যার কথাটা বলেছেন। অবশ্যই আমি লোক পাঠিয়ে খোঁজ নিব এবং এমন ঘটনা ঘটলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।