4:06 pm , February 1, 2024
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিভক্ত হয়ে পড়েছে বিএনপি ও জামায়াতপন্থী আইনজীবীরা। নির্বাচনে সভাপতি-সম্পাদক ও অর্থ সম্পাদক পদে তাদের একাধিক প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার দীর্ঘ বৈঠকের পর সভাপতি পদের প্রার্থী চুড়ান্ত করলেও সাধারন সম্পাদক এবং অর্থ সম্পাদক পদে প্রার্থী চুড়ান্ত করতে পারেনি নেতৃবৃন্দ। এমনকি সভায় নির্বাচনে অংশ নেয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কেউ কেউ।
আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারী বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন। নির্বাচনে সভাপতি একজন, সহ-সভাপতি দুইজন, সাধারন সম্পাদক একজন, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক দুইজন, অর্থ সম্পাদক একজন এবং কার্যনির্বাহী সদস্য চারজনকে নির্বাচিত হবে। নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের প্রার্থীতা চুড়ান্ত করা হয়েছে।
কিন্তু বিএনপি-জামায়াত পন্থী আইনজীবীদের প্রার্থী চুড়ান্ত করতে পারেনি। বুধবার মনোনয়ন পত্র জমা দেয়ার শেষ দিনেও তারা প্রার্থীতা চুড়ান্ত করতে ব্যর্থ হয়। বিএনপি-জামায়াতপন্থী আইনজীবীরা একমত না হওয়ায় তিনটি পদে একাধিক প্রাথী মনোনয়ন পত্র জমা দেয়।
এ বিষয়ে জাতীয়বাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি এ্যাড. মহসিন মন্টু বুধবার বলেন, কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশনা অনুযায়ী নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। একাধিক পদে মনোনয়ন ফরম জমা দেয়া সকল প্রার্থী তার কাছে বন্ড দিয়েছেন, সকলে মিলে যাদের চুড়ান্ত করা হবে মেনে নিয়ে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করবেন।
প্রার্থীতা চুড়ান্ত করতে বৃহস্পতিবার দুপুর একটায় বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতির দ্বিতীয় তলায় সভা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করে এ্যাড. মহসিন মন্টু। বক্তব্য রাখেন ফোরামের জ্যেষ্ঠ সদস্য এ্যাড. মজিবুর রহমান নান্টু, আলী আহমেদ, নাজিমউদ্দিন পান্না, কাজী এনায়েত হোসেন বাচ্চু, আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।
সভায় এ্যাড. মজিবুর রহমান নান্টু ও এ্যাড. নাজিমউদ্দিন পান্না নির্বাচনে অংশ নেয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেছেন, কোন নির্বাচনেও অংশ নেয়া হয়নি। সেখানে আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে অংশ নেয়ার কারনও জানতে চেয়েছেন তারা।
এর উত্তর কেউ সভায় দেয়নি। তারা সভাপতি পদে এ্যাড. সাদিকুর রহমান লিংকনকে চুড়ান্ত করেন। তাই এ পদে মনোনয়ন জমা দেয়া এ্যাড. নাজিমউদ্দিন আহমেদ পান্না ও আবুল কালাম আজাদ-১ প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেবেন।
কিন্তু সাধারন সম্পাদক পদে শেখ হুমায়ুন কবির মাসউদ, আবুল কালাম আজাদ ইমন, মির্জা মো. রিয়াজ হোসেন ও জামায়াতের সালাহউদ্দিন মাসুম প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকার সিদ্বান্তে অনঢ়। একই ভাবে অর্থ সম্পাদক পদে এ্যাড. মোক্তার হোসেন সরদার ও জামায়াতের মো. ফরিদ উদ্দিনও নির্বাচনে থাকবেন বলে সাফ জানিয়ে দেন। দুপুর একটা থেকে বিকেল তিনটা পর্যন্ত সভা করে কোন সিদ্বান্তে আসতে ব্যর্থ হয় নেতৃবৃন্দ। এক পর্যায়ে সভার পরিস্থিতি উতপ্ত হয়ে উঠলে সমাপ্তি ঘোষনা করেন সভাপতি মহসিন মন্টু। তিনি সন্ধ্যায় প্রার্থীর চুড়ান্ত তালিকা ঘোষনা দেয়ার কথা জানিয়ে সভাই চলে গেছেন।
সভাপতি মহসিন মন্টু বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর আবারো বসা হবে। সেখানে সিদ্বান্ত খুজে বের করা হবে।
নির্বাচনে যাওয়া নিয়ে দুই জ্যেষ্ঠ সদস্যর বক্তব্যে সম্পর্কে এ্যাড. মহসিন মন্টু বলেন, তারা তাদের ব্যক্তিগত মতামত দিয়েছে। রহস্য বলতে কিছু নেই। আমরা কেন্দ্র থেকে অনুমতি নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছি।