4:00 pm , January 27, 2024
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এএইচএম শফিকুজ্জামান বলেছেন, একটি চক্র এসএমএস এর মাধ্যমে গোটা চালের বাজারকে অস্থির করে দেয়। এটা যারা করছে তাদের বিরুদ্ধে আমরা প্রতিটি উপজেলা ও জেলায় কার্যক্রম ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। গতকাল শনিবার সকালে বরিশাল নগরীর ফড়িয়াপট্টি ও চকবাজার এলাকার চালের পাইকারী বাজার পরিদর্শন করে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, উত্তরবঙ্গে চালের বড় বড় কয়েকশ কল আছে। তারা একইভাবে জোটবদ্ধ হয়। এই চক্র সারাদেশে ধানের দাম বেড়েছে এমন প্রচার করে চালের দাম বাড়িয়ে দেয়। ১৭ কোটি ভোক্তাকে প্রতারিত করছে কতিপয় ক্ষুদ্র কয়েকটি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী। এর আগে আলু, ব্রয়লার মুরগি, ডিম নিয়ে যা করছে আজ চাল, কাল পেঁয়াজ নিয়েও তা করা হচ্ছে। আর এদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান রয়েছে আমাদের।
মহাপরিচালক বলেন, ধানের দাম যদি বেড়েও থাকে, সেই চালটা তো দুই মাস পরে অর্থাৎ বৈশাখ মাসে বাজারে আসবে। কিন্তু ১৫ দিনের ব্যবধানে পূর্বের ধানের চালের দাম বাড়িয়ে দেওয়া অযৌক্তিক। আর অযৌক্তিক বিষয়ের বিরুদ্ধে আমরা কাজ করছি।
তিনি বলেন, ঠিক ১৫-২০ দিনের ব্যবধানে একই মোকামের একই ভাউচারে একই চাল ৪ থেকে সাড়ে ৪ টাকা ব্যবধান হচ্ছে। অর্থাৎ ডিসেম্বরের শেষে যে চালটা এসেছে এবং জানুয়ারির ১০-১২ তারিখে মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে সেখানে ৪ টাকার ডিফারেন্স ফরিদপুর ও কুষ্টিয়ার আড়ত থেকেই হচ্ছে।
তিনি বলেন, বরিশালে তেমন কোন ব্যত্যয় পাওয়া যায়নি। তারা যে দামে চাল কিনছে আর তার ওপর সামান্য লাভ করেই বিক্রি করে দিচ্ছে। তবে এখানে হাজার হাজার চালের বস্তা রয়েছে। জেলা প্রশাসন ও ভোক্তা অধিদপ্তরের স্থানীয় কর্মকর্তাদেরকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে তারা যেন তদন্ত করে দেখে আগের কম দামের কেনা চাল মজুত করে বাড়তি দামে বিক্রি করছে কিনা। কারণ মজুত চাল যদি বাড়তি দামে বিক্রি হয়, সেটাও একটি বড় ঘাপলা।
মহাপরিচালক জানান, বরিশাল বা যে সকল জায়গায় পাইকারি ও খুচরো চাল বিক্রি হচ্ছে সেখান থেকে তথ্য নিচ্ছি আমরা। আর এখান থেকে তথ্য নিয়ে যে সোর্স থেকে দাম বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে সেখানে তদন্ত করবো। ব্যত্যয় ঘটলে প্রয়োজনে সিলগালা করে দিব, আইনের আওতায় নিব।
এ সময় তিনি আসন্ন রমজান উপলক্ষ্যে ডাল, চিনি, তেলসহ রমজানের পণ্য নিয়ে যাতে কারসাজি না করতে পারে সেজন্য জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কাজ করছে বলে জানান। অপরদিকে বরিশালের পাইকারী বাজারে পাওয়া খোলা ভোজ্য তেলের অপরিষ্কার ড্রাম দেখে অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
বাজার পরিদর্শন শেষে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের আয়োজনে চাল, ভোজ্য তেল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে ব্যবসায়ী প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন পর্যায়ের অংশীজনের অংশগ্রহণে মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন তিনি।