4:32 pm , January 25, 2024

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের দুই পাশের বিপুল পরিমান গাছ ভুয়া নিলাম ও কার্যাদেশ দেখিয়ে কেটে নেওয়ার সময় ৫০টির মতো উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার ও বুধবার বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের উজিরপুর উপজেলার বামরাইল-জয়শ্রী অংশ উদ্ধার করা হয় বলে উপ-সহকারী প্রকৌশলী অরুন কুমার বিশ্বাস জানিয়েছেন। গৌরনদী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানে অনুকুলে কার্যাদেশ সম্পর্কে কিছুই জানে না বরিশাল সড়ক ও জনপথ বিভাগ। এমনকি খোঁদ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক গৌরনদী উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান ফরহাদ মুন্সীও কিছু জানেন না বলে দাবি করেছেন। বরিশাল সড়ক বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী অরুন কুমার বিশ্বাস বলেন, মহাসড়কের মালিক সড়ক বিভাগ। কিন্তু গাছের মালিক হচ্ছে সওজের উপ-বিভাগীয় বৃক্ষপালনবিদের ঢাকার মিরপুরের পাইকপাড়া কার্যালয়। গাছ কাটার দরপত্র আহবান ও কার্যাদেশ দেয়ার বিষয় সম্পর্কে তারা কিছুই জানেন না। তাই বরিশাল সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর নির্দেশে গাছ জব্দ করেছেন। যারা গাছ কেটেছেন তাদের ধাওয়া করা হয়েছে।
উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আরো জানান, ঢাকা থেকে উপ-বিভাগীয় বৃক্ষপালনবিদ কার্যালয় থেকে কর্মকর্তারা বৃহস্পতিবার আসবেন। তারপর বিষয়টি সম্পর্কে পরবর্তি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বরিশাল সড়ক ও জনপদে নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাসুদ মাহমুদ সুমন বলেন, সড়ক ও জনপদ কার্যালয় থেকে কোন গাছ কাটার দরপত্র আহবান করা হয়নি। এমনকি যে কার্যাদেশ দেখানো হয়েছে সেটি ভুয়া। কার্যাদেশের মাধ্যমে গাছ কাটার নেতৃত্বদানকারী গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউপির ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. হাবুল বেপারী জানান, প্রধান নির্বাহী বৃক্ষ পালনবিদ ঢাকা অফিসের সহকারি হারবড়িয়াম মো. আরিফুল ইসলাম গৌরনদীর বাসিন্দা। তাকে গাছ কেটে দেওয়ার সাব কন্টাক দিয়েছে। গত চারদিন ধরে ৫০টি গাছ কাটা হয়েছে। ওই গাছ সরকারী লোকজন নিয়ে গেছে। হাবুল বেপারী দেওয়া কার্যাদেশ অনুযায়ী দেখা গেছে, বরিশাল সড়ক বিভাগের আওতাধীন যাত্রাবাড়ী-ভাঙ্গা-ভুরঘাটা-বরিশাল মহাসড়কের মাহিলারা-বাটাজোর-জয়শ্রী অংশের উপর স্থাপিত গাছপালা অপসারন কাজ। লট ২ গ্রুপ। জরুরী ভিত্তিতে প্রকাশ্যে নিলামের মাধ্যমে বিক্রয়। উপ-বিভাগীয় বৃক্ষ পালন বিদ পাইকপাড়া মিরপুর কার্যালয় থেকে ওই কার্যাদেশ দেয়া হয় ৩১ ডিসেম্বর। কার্যাদেশ প্রাপ্তির ৩০ দিনের মধ্যে গাছ কাটার শর্ত রয়েছে।কার্যাদেশ পেয়েছে গৌরনদী উপজেলার বার্থী এলাকার এলাহী এগ্রো এন্টারপ্রাইজ। যার মালিক গৌরনদী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ফরহাদ মুন্সী। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক। ফরহাদ মুন্সী বলেন, আমি গাছ কাটার কোন টেন্ডারে অংশ নেয়নি। কি করে আমার প্রতিষ্ঠানের নামে কার্যাদেশ এসেছে আমি জানি না। সহকারি হারবড়িয়াম মো. আরিফুল ইসলামকে বারবার ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।