সংরক্ষিত আসনে এগিয়ে বরিশালের লুনা আবদুল্লাহ, ফারজানা ও শাম্মী সংরক্ষিত আসনে এগিয়ে বরিশালের লুনা আবদুল্লাহ, ফারজানা ও শাম্মী - ajkerparibartan.com
সংরক্ষিত আসনে এগিয়ে বরিশালের লুনা আবদুল্লাহ, ফারজানা ও শাম্মী

3:43 pm , January 24, 2024

বিশেষ প্রতিবেদক॥ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হওয়ার পর এবার সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে দৌঁড়ঝাপ শুরু হয়েছে নারী প্রার্থীদের। তাদের মধ্যে আছেন মহিলা লীগ, যুব মহিলা লীগ, মহিলা শ্রমিকলীগ সহ সাবেক নারী নেত্রীরা। তালিকায় আছেন তারকা শিল্পী ও অভিনেত্রীরাও। এই দৌঁড়ঝাপে বরিশাল থেকে এগিয়ে আছেন বরিশাল সিটি মেয়র পতœী লুনা আবদুল্লাহ। বিশেষ করে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন এবং দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে ব্যাপক ভুমিকা রেখে তিনি আলোচনায় চলে এসেছেন। তার সুন্দর বাচন-ভঙ্গী এবং তেজস্বী বক্তৃতার কারণে তিনি নগরীতে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। এছাড়াও এই তালিকায় আছেন বাবুগঞ্জ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা মহিলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারজানা ওহাব, মনোনয়ন পেয়েও দ্বৈত নাগরিকত্ব জটিলতায় প্রার্থীতা হারানো আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ।
সাধারণ নির্বাচনের ফলাফলের গেজেট প্রকাশের ৯০ দিনের মধ্যে জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে। ৯ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের গেজেট প্রকাশিত হওয়ায় আগামী ৯ এপ্রিলের মধ্যে সংরক্ষিত আসনের নির্বাচন করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। সে লক্ষে কাজও শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। প্রথাগতভাবে সংরক্ষিত নারী আসনে সাধারণত আসনের চেয়ে বেশি প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা না দেওয়ায় দল বা জোট মনোনীত প্রার্থীরা বিনা ভোটে নির্বাচিত হন। ফলে সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি হতে আগ্রহীরা নিজেদের দল বা জোটের নেতাদের কাছেই ধর্ণা দিচ্ছেন। নানাভাবে চেষ্টা করছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সু-দৃষ্টি তে থাকার।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পরেও তিন নেত্রীকে জোট ও শরীকদের জন্য আসন ছাড়তে হয়েছিল : তারা হলেন- লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে ফরিদুন্নাহার লাইলী, গাইবান্ধা-১ আসনে আফরুজা বারী ও গাইবান্ধা-২ আসনে মাহবুব আরা বেগম গিনি। সংরক্ষিত নারী আসনে তাদের এবার দেখা যেতে পারে। মহিলা আওয়ামী লীগ এবং যুব মহিলা লীগের বর্তমান ও সাবেক শীর্ষ নেত্রীরাও আছেন সংরক্ষিত নারী আসনের মনোনয়ন দৌঁড়ে। তাদের মধ্যে মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি,  সাধারণ সম্পাদক শবনম জাহান শিলার নামও আছে। এছাড়াও আলোচনায় আছেন যুব মহিলা লীগ সভাপতি ডেইজী সরোয়ার ও সাধারণ সম্পাদক শারমীন সুলতানা লিলি। যুব মহিলা লীগের সাবেক দুই শীর্ষ নেত্রী নাজমা আক্তার ও অপু উকিল সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি ছিলেন। এছাড়া মহিলা আওয়ামী লীগ ও যুব মহিলা লীগের আরও বেশ কিছু নেত্রী দলীয় মনোনয়ন চেয়ে পাননি। তারা চেষ্টা করছেন সংরক্ষিত নারী আসনের জন্য। আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ দলের মনোনয়ন পেলেও দ্বৈত নাগরিকত্বের জটিলতার কারণে নির্বাচন করতে পারেননি। সংরক্ষিত নারী আসনের আলোচনায় তার নামও শোনা যাচ্ছে।
আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা বলছেন, সংরক্ষিত আসনে দলীয় মনোনয়নের ক্ষেত্রে এবার তৃণমূলের ত্যাগী নেত্রীদের গুরুত্ব দেয়া হতে পারে। শুরু থেকে  কেন্দ্রীয় রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত নারীদের মূল্যায়ন করার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করেন তারা। মনোনয়ন পেয়েও জোট বা শরীকদের জন্য আসন ছেড়ে দেওয়া এবং যোগ্যতায় এগিয়ে থাকার পরেও যাদের নানা কারণে দলের মনোনয়ন দেওয়া সম্ভব হয়নি এমন নারী নেত্রীরা এগিয়ে থাকবেন সংরক্ষিত আসনে দলীয় মনোনয়নে এমনটাও বলছেন কেউ কেউ । আর এসব বিবেচনায় বরিশালের ফারজানা ওহাব অনেকটাই বেশি এগিয়ে আছেন বলে ধারণা করা যায়। দলের জন্য তার ত্যাগ এবং তার পিতা মুক্তিযোদ্ধা আবদুল ওহাব খানের সুযোগ্য কন্যা হিসেবে তিনিও ত্যাগের পুরস্কার পেতে পারেন।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT