3:39 pm , January 24, 2024

নিরঞ্জন মন্ডল, আগৈলঝাড়া প্রতিবেদক ॥ আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক নৌকা থাকছে না। থাকবে না দলীয় কোন মনোনয়ন বা দলের কোন প্রার্থীর প্রতি নমনীয়তা। দলের নীতি নির্ধারণী পর্যায়ের এমন সিদ্ধান্তে পাল্টে গেছে নির্বাচনী মাঠের চিত্র। এবার প্রার্থীদের নৌকায় চড়ে পার হওয়া নয়, পার হতে হবে নিজের অবস্থান আর কর্ম-দক্ষতা দিয়ে।
আওয়ামী লীগের এমন সিদ্ধান্তকে সাধারণ ভোটাররা স্বাগত জানালেও চরম হতাশা বিরাজ করছে যারা চেয়ারম্যান হওয়ার স্বপ্ন দেখছিলেন। যারা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাবার জন্য লবিং ও তদ্বির করে আসছিলেন তাদের সংখ্যা কমে যেতে শুরু করেছে।
সদ্য সমাপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রেশ কাটতে না কাটতেই প্রচন্ড শীতের মাঝে দেশের অন্যান্য স্থানের মতো বরিশালের আগৈলঝাড়ার সর্বত্রই বইতে শুরু করেছে উপজেলা নির্বাচনের হাওয়া। কে হচ্ছেন উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী তা নিয়ে পাড়া-মহল্লার চায়ের দোকান থেকে শুরু করে অফিস পাড়ায় চলছে ব্যাপক আলোচনা।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, আগৈলঝাড়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে সম্ভাব্য ৯জন আওয়ামী লীগ নেতার প্রার্থী হওয়ার কথা ছিল। হঠাৎ করে ২২জানুয়ারি নির্বাচনে নৌকা প্রতীক থাকছে না দলের এমন সিদ্ধান্তের পর গত দুইদিন থেকে ওই সকল প্রার্থীদের সাথে যোগাযোগ করার পর তারা এখন নির্বাচন নিয়ে মুখ খুলতে অপরাগতা প্রকাশ করার পাশাপাশি অনেকেই প্রার্থী হবেন না বলে সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন।
দলের ওপর ভর করে চলা জনশূন্য ওইসব প্রার্থী ও তাদের কতিপয় সমর্থকদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ব্যাপারে কোন কথা বলতে রাজি হননি। গত ২২ জানুয়ারি দলীয় বৈঠকে নেয়া সিদ্ধান্তের আগে আগৈলঝাড়া উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক প্রার্থীরা ক্ষমতাসীন দলের মনোয়ন নিতে এবং নিজেদের বিজয়ীর বেশে দেখতে যে লবিং, তদ্বির শুরু করেছিলেন সে আশায় এখন গুড়ে বালি।
আগৈলঝাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীর তালিকায় রয়েছেন বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান, বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য আব্দুর রইচ সেরনিয়াবাত ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সালেহ মো. লিটন সেরনিয়াবাত। তৃণমূল পর্যায়ের মাঠ জরিপে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে রয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সালেহ মো. লিটন সেরনিয়াবাত ।
এ ব্যাপারে আগৈলঝাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুনীল কুমার বাড়ৈ বলেন, আওয়ামী লীগ একটি বৃহৎ রাজনৈতিক সংগঠন। এখানে একাধিক প্রার্থী হতেই পারেন। তবে নির্বাচনকে শতভাগ গ্রহণযোগ্য করতে দলীয় প্রতীক না থাকা একটি ইতিবাচক দিক জানিয়ে বলেন, এবার সরাসরি জনগনের আশা আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটবে।