4:11 pm , January 21, 2024

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ গৌরনদীতে স্বামীর মৃত্যুর পর মানসিক ভারসাম্য হারানো চার সন্তানের জননীকে দুই বছর ধরে বেঁধে রাখা হয় শিকল দিয়ে। পরিবারের দাবি কোন চিকিৎসায় সুস্থ না হওয়ায় অন্যত্র চলে যেতে না পারে, সে জন্য শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে। পায়ে শিকল নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করা ওই নারী হলেন নাজমা আক্তার (৩৫)। সে উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের সালতা গ্রামের বৃদ্ধ উমর আলী হাওলাদারের মেয়ে। নাজমার বৃদ্ধ মা মনোয়ারা বেগম জানান, সাত-আট বছর ধরে মানষিক একটু সমস্যা ছিলো। তিন বছর পূর্বে স্বামী রহিম হাওলাদারের মৃত্যুর পর মানসিক ভারসাম্য পুরোই হারিয়ে ফেলে। অর্থের অভাবে স্থানীয় বিভিন্ন কবিরাজের মাধ্যমে চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু সুস্থ হয়নি। অন্যত্র যাতে চলে যেতে না পারে সেজন্য গত দুই বছর যাবত তাকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখতে হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, যেখানে আমাদের তিন বেলা খাবার জোটে না, সেখানে মেয়েকে সুচিকিৎসা করাই কিভাবে ?
নাজমার এক ছেলে ও তিন মেয়ে আছে। টিনের ঘরের খুটির সাথে শিকল দিয়ে তার এক পা বাঁধা। ঘরের মেঝেতে খড় বিছিয়ে দেয়া হয়েছে। সেখানে বসে ও শুয়ে কাটে তার দিন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পরিবারটি এতটাই অস্বচ্ছল যে মানষিক ভারসাম্যহীন নাজমার সুচিকিৎসা দেয়ার মতো সামর্থ্য তাদের নেই। পরিবারের একজনমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি তিনিও ষাটোর্ধ্ব । তার উপরই সাত সদস্যের পরিবারের ভরণপোষনের দায়িত্ব। তাদের মুখে ঠিকমতো খাবার তুলে দিতেই তার কষ্ট হয়।
গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবু আবদুল্লাহ খান জানান, খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।