বরিশাল বিভাগে ২১.০৮ ভাগ জমিতে বোরো আবাদ সম্পন্ন বরিশাল বিভাগে ২১.০৮ ভাগ জমিতে বোরো আবাদ সম্পন্ন - ajkerparibartan.com
বরিশাল বিভাগে ২১.০৮ ভাগ জমিতে বোরো আবাদ সম্পন্ন

4:10 pm , January 21, 2024

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল বিভাগের বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ২১.০৮ ভাগ জমিতে রোপন সম্পন্ন হয়েছে। রোববার বিকেলে এ তথ্য জানিয়েছে বরিশাল কৃষি সম্প্রসারই অধিদপ্তর।
অতিরিক্ত পরিচালকের কার্যালয় থেকে দেয়া তথ্য অনুযায়ী বরিশাল বিভাগের ৬ জেলায় এ বছর ২ লাখ ৫ হাজার ৮২ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। এরমধ্যে উফসী জাতের বোরো ধানের আবাদ লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ১ লাখ ২৫ হাজার ৬৫৫ হেক্টর জমিতে। হাইব্রীড জাত ৭৭ হাজার ০৭ ও স্থানীয় জাত ২ হাজার ৪২০ হেক্টরে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এরমধ্যে রোববার পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৪৩ হাজার ২৩৬ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। আবাদ হওয়া জমির মধ্যে ২৩ হাজার ২৪০ হেক্টরে হাইব্রীড, ১৮ হাজার ৪৭৯ হেক্টরে উফসী ও  এক হাজার ৫১৭ হেক্টরে স্থানীয় জাত রয়েছে। বরিশাল বিভাগের মধ্যে সর্বোচ্চ ৪৯ ভাগ জমিতে আবাদ হয়েছে পিরোজপুর জেলায়। সর্বনি¤œ ৩. ৪০৫ ভাগ জমিতে আবাদ হয়েছে পটুয়াখালী জেলায়। এছাড়া ঝালকাঠি জেলায় ৩১.৬ ভাগ, বরিশাল জেলায় ২৫.২৭, বরগুনা জেলায় ৬.৯১৮ ও ভোলা জেলায় ৭.৬৩৫ ভাগ জমিতে আবাদ হয়েছে। বিভাগের মধ্যে সবচেয়ে বরিশাল জেলায় বেশি বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এ জেলায় ৬৩ হাজার ১৫০ হেক্টরে বোরো আবাদে লক্ষ্য নির্ধারন করা হয়েছে। এরমধ্যে ১৫ হাজার ৯৫৭ হেক্টরে আবাদ হয়েছে।
এরপরে রয়েছে ভোলা জেলা। এ জেলায় ৬৩ হাজার হেক্টরে বোরো আবাদের লক্ষ্য নির্ধারন করা হয়েছে। এরমধ্যে ৪ হাজার ৮১০ হেক্টরে আবাদ হয়েছে।
পিরোজপুর জেলায় লক্ষ্যমাত্রার ৩৪ হাজার ৭০ হেক্টরের মধ্যে ১৬ হাজার ৬৯৪ হেক্টরে আবাদ হয়েছে।
ঝালকাঠি জেলায় ১৩ হাজার ৭৫০ হেক্টরের লক্ষ্যমাত্রার ৪ হাজার ৩৪৫ হেক্টরে আবাদ হয়েছে।
পটুয়াখালী জেলায় ২০ হাজার ৫৬০ হেক্টরের মধ্যে ৭০০ হেক্টরে আবাদ হয়েছে।
বরগুনার ১০ হাজার ৫৫২ হেক্টরের মধ্যে ৭৩০ হেক্টরে আবাদ হয়েছে। বরিশাল সদর উপজেলার চরবাড়িয়া ইউনিয়ন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা বিনয় ভুষণ মন্ডল বলেন, সাধারন নভেম্বর মাস থেকে বরিশালে বোরো আবাদ শুরু হয়। ১৫ মার্চ পর্যন্ত আবাদ চলবে।
তিনি বলেন, নভেম্বর থেকে সাধারন চরাঞ্চলে চাষাবাদ হয়।  আমন ধান তুলতে তুলতে জানুয়ারীর পর চাষাবাদ শুরু হয়। রোববার পর্যন্ত যা চাষাবাদ হয়েছে, তা সন্তোষজনক মন্তব্য করে বলেন, শীত, কুয়াশা ও বৃষ্টি বোরো চাষীদের ব্যয় বাড়িয়ে দিচ্ছে। শীতের হাত থেকে বোরো বীজ রক্ষায় পলিথিন কিনতে হচ্ছে, ছত্রাকের হাত থেকে রক্ষায় ঔষধ দেয়া ও পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা করতে হচ্ছে। এতে কৃষকদের বাড়তি ব্যয় হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, কৃষকদের বর্তমানে একটু সচেতন থাকতে হবে। আবাদ করা বোরো বীজে ছত্রাকনাশক ঔষধ ছিটিয়ে দিতে হবে। এছাড়াও গোড়া পচন থেকে রক্ষায় ক্ষেতে পানি থাকলে অপসারণ করতে হবে।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT