4:08 pm , January 21, 2024

বিশেষ প্রতিবেদক ॥ জ¦ালানী সংকট সহ রক্ষনাবেক্ষনে উৎপাদন বন্ধ থাকায় সপ্তাহের প্রথম কর্ম দিবসের শুরু থেকে বরিশাল অঞ্চলজুড়ে মারাত্মক বিদ্যুৎ সংকটে শিল্প ও ব্যবসা-বানিজ্যে চরম বিপর্যয় নেমে এসেছে। রোববার সকাল ১০টার পর থেকে ডে-পীক আওয়ারের শুরুতেই এ অঞ্চলে চাহিদার ৩০-৪০ ভাগ পর্যন্ত বিদ্যুৎ ঘাটতি দেখা দেয়। খোদ বরিশাল মহানগরীতে প্রায় ১শ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে প্রায় ৩৫ মেগাওয়াট পর্যন্ত লোডশেডিং করতে হয়েছে। পুরো অঞ্চল জুড়ে দিনের সর্বোচ্চ চাহিদার বিপরীতে ৩০-৪০ ভাগ পর্যন্ত লোডশেডিং এর কারণে দুপুর ৩টা পর্যন্ত দফায় দফায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সরকারি-বেসরকারী দপ্তর সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে চরম ভোগান্তির শিকার হন শিক্ষার্থী ও শিক্ষক মন্ডলী। সপ্তাহের শুরুতে এ বিদ্যুৎ ঘাটতির ফলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পর্যাপ্ত স্বাভাবিক উৎপাদন প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। বেশীরভাগ শিল্প প্রতিষ্ঠানে দিনের প্রথম শিফটের শ্রমিকদের ছুটি দিতে হয়েছে। ফলে ব্যপক উৎপাদন ক্ষতির মুখে পড়ে বেশীরভাগ শিল্প প্রতিষ্ঠান।
বরিশাল মহানগরীর ৫টি মাঝারী থেকে বড় ধরণের ওষুধ শিল্প প্রতিষ্ঠান এবং একাধিক টেক্সটাইল মিল সহ বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানে রোববার দুপুর ৩টা পর্যন্ত উৎপাদন বিপর্যয় অব্যাহত ছিল।
পাওয়ার গ্রীড কোম্পানী-পিজিসিবি এবং পশ্চিমাঞ্চলীয় বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানী-ওজোপাডিকো’র উর্ধ্বতন প্রকৌশলীরা পরিস্থিতি সার্বক্ষনিক মনিটরিং করলেও তাদের কিছুই করণীয় ছিলনা। নগরীর হাতেম আলী কলেজ ফিডার’টি কারিগরি ত্রুটিতে ট্রিপ করায় নগরীর একটি বড় এলাকার মানুষকে বড়তি যন্ত্রনা ভোগ করতে হয়েছে।
জ¦ালানী সংকটের সাথে এ অঞ্চলের সর্ববৃহৎ বিদ্যুৎ পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ২ নম্বর ইউনিটটি মেরামত ও রক্ষনাবেক্ষনে বন্ধ থাকায় ভোল্টেজ সংকট সহ বিদ্যুতের সঞ্চালন ও সরবরাহ ব্যবস্থায়ও বড় ধরনের সংকট সৃষ্টি হয়েছে। ফলে জাতীয় গ্রীড থেকে বরিশাল অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহে ব্যাপক রেশনিং করা হয়েছে। তবে দুপুর ৩টার পরে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও হাতেম আলী কলেজ ফিডার সহ নগরীর কয়েকটি এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ নিরবিচ্ছিন্ন ছিলনা। পরিস্থিতি উন্নয়নে নিবিড় পর্যবেক্ষন সহ প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছেন পিজিসিবি এবং ওজোপাডিকো’র প্রকৌশলীরা।