সদর উপজেলার চেয়ারম্যান পদে খান মামুনকে চায় সাধারণ মানুষ সদর উপজেলার চেয়ারম্যান পদে খান মামুনকে চায় সাধারণ মানুষ - ajkerparibartan.com
সদর উপজেলার চেয়ারম্যান পদে খান মামুনকে চায় সাধারণ মানুষ

4:04 pm , January 21, 2024

হেলাল উদ্দিন ॥ রাজনৈতিক মাঠে শত্রু নেই এমন নেতা বর্তমান সময়ে খুঁজে পাওয়া খুবই কষ্টকর। মানুষের মুখে মুখে সমালোচনা নেই এমন নেতার সংখ্যাও দিন দিন কমে যাচ্ছে রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে। তবে তিনি এমন একজন নেতা নিজ দল তো দূরের কথা প্রতিপক্ষ শিবিরেও যার কোন শত্রু নেই। বলছিলাম যুবলীগ নেতা ও সমাজসেবক আলহাজ¦ মাহমুদুল হক খান মামুনের কথা। রাজনৈতিক,সামাজিক,সাংকৃতিক ধর্মীয়সহ সকল অঙ্গনে যিনি খান মামুন হিসাবে এক নামে পরিচিত। শুরু থেকে অদ্যবদী আওয়ামী লীগের সাথে সম্পৃক্ততা থাকলেও সব মহলে তার নামটি উচ্চারিত হয় শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায়। সমালোচনা নয় গঠনমূলক আলোচনা হয় তাকে নিয়ে। কারন সাধারন মানুষ ও মানুষের কল্যান নিয়েই দিন-রাত ডুবে থাকেন তিনি। রাজনৈতিক মাঠ ও মঞ্চ থেকে মাহফিলের ময়দান,মসজিদ মাদ্রাসার বারান্দা থেকে মন্দির আশ্রম সব খানেই দেখা মেলে এই মানুষটির। সাধারন মানুষের কল্যানে জীবনের অর্ধেকটা সময় পার করে ফেলা এই মানুষটিকে জনপ্রতিনিধি হিসাবে দেখতে চায় বরিশালের মানুষ। নগর ও সদর উপজেলাবাসীসহ দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের প্রত্যাশা ও দাবী আসন্ন সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী করা হোক মাহমুদুল হক খান মামুন কে। যাতে করে তিনি ব্যক্তি সামর্থের বাইরে গিয়ে একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে মানুষের কল্যানে কাজ করতে পারেন।
প্রায় ৪ যুগ ধরে আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত থেকে এবং যোগ্যতার ষোলকলা পুরণ করার পরও বার বার বঞ্চনার শিকার হয়েছেন তিনি। বিভিন্ন নির্বাচনে বার বার নিজ উদ্যোগে প্রার্থী হলেও দলীয় মনোনয়ন জোটেনি তার কপালে। যে কারনে একাধিকবার দলীয় সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে ভোট গ্রহণের পূর্বে  নির্বাচন থেকে সরে যেতে হয়েছে তাকে। তাই এবার আর বঞ্চনা নয় আসন্ন উপজেলা পরিষয়দ নির্বাচনে তাকেই দলীয় মনোনয়ন দেয়ার জন্য দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দাবী তুলেছেন বরিশালের সর্বস্তরের মানুষ।
রাজনৈতিক জীবন ঃ ১৯৮২ সালে বি এম কলেজ ছাত্রলীগের সদস্য, ১৯৮৩ সালে বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের গ্রন্থনা সম্পাদক,১৯৮৭ সালে জেলা ছাত্রলীগের প্রচারক সম্পাদক,১৯৮৯ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত বি এম কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি, ১৯৮৯ সালে বি এম কলেজ ছাত্র সংসদের এজিএস,১৯৯০ সালে জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক, একই বছরে বাকসুর জিএস,২০০৪ সাল থেকে অদ্যবদি মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহবায়কের পদে আছেন।
নির্বাচনে অংশগ্রহনঃ ২০০৯ সালে বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ গ্রহন। দুইবার অংশ নিয়েছেন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে।
রাজনৈতিক হামলা-মামলাঃ ১৯৮১ সালে ১৫ আগস্ট শোক দিবস পালনের অপরাধে বরিশাল ল কলেজ মাঠ থেকে গ্রেফতার, ১৯৯০ সালে এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করায় একাধিক মিথ্যা মামলার আসামী হওয়া,১/১১ পরবর্তী সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গ্রেফতারের প্রতিবাদে প্রতিবাদ মিছিল বের করলে পুলিশের নির্মম নির্যাতন ও  ২ টি মামলার আসামী করা হয় তাকে।
শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ ১৯৮২ সালে এসএসসি এবং ১৯৮৪ সালে এইচএসসি এবং ১৯৭৮ সালে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় থেকে বিকম পাশ। একই বিশ^বিদ্যালয় থেকে ১৯৮৯ সালে ব্যবস্থাপনায় এমকম ও অর্থনীতি বিষয়ে এম এস এস। ১৯৯৪ সালে জাতীয় বিশ^বিদ্যালয় থেকে ইতিহাস বিভাগ থেকে এম এ এবং ১৯৯২ সালে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় থেকে এলএলবি পাশ।
রাজনৈতিক পরিচয়ের বাইরে তিনি মানবাধিকার কমিশন বরিশাল জেলা শাখার সভাপতি এবং মহানগর কমিউনিটি পুলিশিং এর অন্যতম সদস্য। এছাড়া নগরী ও নগরীর বাইরে অর্ধশতাধিক মসজিদ মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত রয়েছেন তিনি।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT