3:25 pm , January 18, 2024

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ শহীদ অ্যাডভোকেট আবদুর রব সেরনিয়াবাত আইন মহাবিদ্যালয়ের সভাপতি আনোয়ার হোসেন ও বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. মোস্তফা জামাল খোকন এর বিরুদ্ধে মানববন্ধন করা হয়েছে। শহীদ অ্যাডভোকেট আবদুর রব সেরনিয়াবাত আইন মহাবিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থী এবং বরিশালের সর্বস্তরের জনগনের পৃথক ব্যানারে বৃহষ্পতিবার দুপুরে নগরীর অশ্বিনী কুমার টাউন হলের সামনে এ মানববন্ধন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আবুল ফারুক, মেহেদি হাসান, রুম্মান, জামাল সরদারসহ শহীদ অ্যাডভোকেট আবদুর রব সেরনিয়াবাত আইন মহাবিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান ছাত্রসহ স্থানীয়রা। এতে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, কৌশলে ৬৭ বছরের পুরনো শহীদ অ্যাডভোকেট আবদুর রব সেরনিয়াবাত আইন মহাবিদ্যালয়ের ২০২২ সালে সভাপতি হন আনোয়ার হোসেন। এরপর তারই পরিচিতজন মোস্তফা জামান খোকনকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের পদে বসানো হয়। তারা দায়িত্ব থাকাকালীন সময়ে কলেজের ফান্ডের অর্থ বিভিন্নভাবে খরচের পায়তারা করে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের সাথে খারাপ আচরণ, মৌখিক পরীক্ষার সময় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অর্থ নেয়া, নিয়োগে অনৈতিক সুবিধা দেয়া-নেয়ারও অভিযোগ রয়েছে সভাপতি আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে। এ সময় আয়োজকরা লিখিত প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে দাবি করেন, গত কয়েক বছরে আইন মহাবিদ্যালয়ে বিভিন্ন বিষয়ে নিয়মবহির্ভূত কর্মকান্ড হয়েছে। অবৈধভাবে শিক্ষক নিয়োগ, টাকা উত্তোলন ও আত্মসাতের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেন, সেইসাথে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণের প্রতিবাদ ও বিচার দাবি করেন। এছাড়া মানববন্ধনে বরিশালের সর্বস্তরের জনগনের ব্যানারে অংশগ্রহণকারীরা দাবি করছেন, বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও বিএম কলেজের সাবেক ভিপি আনোয়ার হোসেন সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী, পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাতকে নিয়ে কটুক্তি করেছেন। তাই তাকে বহিষ্কার ও শাস্তির দাবি জানিয়েছেন বক্তারা।  উল্লেখ্য গত ৯ জানুয়ারি রাতে শহীদ অ্যাডভোকেট আবদুর রব সেরনিয়াবাত আইন মহাবিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মারধরের শিকার হন আনোয়ার হোসেন। তাকে রক্ষা করতে গিয়ে লাঞ্ছনার শিকার হন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোস্তফা জামান খোকন। যে ঘটনায় আরিফুর রহমান অপু, আজিমসহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলাও হয়।  যেখানে উল্লেখ করা হয় চাঁদার টাকা না দেয়ায় ওই হামলার ঘটনা। তবে আরিফুর রহমান অপু জানিয়েছেন, নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিবাদ করায় তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে মামলাটি করা হয়েছে। অপু দাবি করেন, আইন মহাবিদ্যালয়ের পরিচালনার দায়িত্বে সবসময় জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা ছিলেন। কিন্তু আনোয়ার হোসেন কৌশলে আইন মহাবিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতির পদটি বাগিয়ে নেন। তার শুরু থেকে এ পর্যন্ত সকল কর্মকান্ড তদন্ত করে দেখা হোক।  এতে নিয়োগ থেকে শুরু করে আর্থিক সংশ্লিষ্টতার প্রতিটি ক্ষেত্রে দুর্নীতি ও জালিয়াতি খুঁজে পাওয়া যাবে।