3:19 pm , January 16, 2024

হিজলা প্রতিবেদক ॥ বরিশালের হিজলায় আধিপত্য বিস্তার কে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে সংবাদিক সহ উভয় পক্ষের ৭ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বরিশাল শেবাচিমে প্রেরণ করা হয়। আহতরা হলেন : সালাউদ্দিন সিকদারের ছেলে মাসুদ সিকদার(২৪),জাহাঙ্গির দর্জির ছেলে আনিচ (৩০),এনায়েত হোসেন হাওলাদারের ছেলে আম্মান হাওলাদার (২৬),বরকত সিকদার (৩২) , মৃত আবদুর রহমান হাওলাদারের ছেলে আলমগীর হাওলাদার (৫৫), সোলাইমান হাওলাদার (৫০),আলমগীর হাওলাদারের ছেলে সোয়েব হাওলাদার (১৮)।
জানাগেছে, স্থানীয় এমপি পংকজ নাথ অনুসারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক এনায়েত হোসেন হাওলাদার ও শাম্মী আহমেদ এর অনুসারী হিরণ হাওলাদার এর মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।
মঙ্গলবার বেলা অনুমানিক ১২ টার দিকে উপজেলা রেমিডি মেডিকেল সার্ভিসের ভেতরে এ সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় উভয় পক্ষ পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছেন।
হামলার শিকার মাসুদ সিকদার জানান, রেমিডি মেডিকেল সার্ভিসে এক রোগীকে রক্তদান করার সময় আলমগীর হাওলাদার তার ভাই সোলাইমান হাওলাদার সহ কয়েকজন আমার উপর হামলা চালায়। পরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক এনায়েত হোসেন হাওলাদারের ছেলে আম্মান লোকজন নিয়ে এসে অতর্কিত হামলা চালায়।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জান্নাতের বাবা বেলায়েত চৌকিদার জানান, মাসুদ সিকদার তার মেয়ের রক্ত দেওয়া অবস্থায় ৫/৬ জন লোক এলোপাথাড়ি মারধর শুরু করে। এ সময় তিনি তার এলাকার ইউপি সদস্য রুমা বেগমকে ফোন দিয়ে বিষয়টি জানান।
এনায়েত হোসেন হাওলাদার জানান, গত সোমবার হিজলা সরকারী কলেজে বড়জালিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হিরণ হাওলাদারের সাথে আমার লোকজনের বাগবিতন্ডা হয়। তখন তারা হামলা করতে না পেরে আজকের এ হামলা।
এ বিষয়ে বড়জালিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হিরণ হাওলাদার জানান, গত সোমবার এনায়েত হাওলাদারের লোকজন আমাদের অপমান করে। আজকের হামলার বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। ঘটনা শুনে হাসপাতালে এসে দেখেন দুই ভাই ও ভাতিজা গুরুতর আহত।
হিজলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ জুবাইর জানান, দুই গ্রুপের সংঘর্ষের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ সংবাদ শুনে তাৎক্ষনিক হাসপাতালে গিয়েছি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেব।