নগরীতে ফুটপাতে জমজমাট শীতের পিঠা-পুলির ব্যবসা নগরীতে ফুটপাতে জমজমাট শীতের পিঠা-পুলির ব্যবসা - ajkerparibartan.com
নগরীতে ফুটপাতে জমজমাট শীতের পিঠা-পুলির ব্যবসা

2:57 pm , January 14, 2024

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ শীত জেকে বসেছে কয়েকদিন ধরে। মাস খানেক আগ থেকেই শীতের প্রকপ শুরু হলেও হিমহার হচ্ছে গত দু-দিনে। প্রচন্ড শীতে এখন শীতের পিঠার কদর বেড়েছে বেশ। গোটা নগরী জুরে শীত শুরুর সাথে সাথেই জমে উঠেছিলো মৌসুমী এই ব্যবসা। নগরীর হালকা শীতেই জমে উঠা এই ব্যবসা এখন বেশ জমজমাট। ভোর আর সন্ধ্যায় শহরের রাস্তার মোড়ে কিংবা মহল্লার অলিগলিতে শীতের হরেক পিঠার পসরা সাজিয়ে ভ্রাম্যমাণ দোকান বসিয়েছেন মৌসুমি পিঠা বিক্রেতারা। সেসব দোকানে পিঠার স্বাদ নিতে ভিড় করছেন ক্রেতারা। পিঠার মৌসুমি এই ব্যবসা অনেক দরিদ্র মানুষের উপার্জনের পথ খুলে দিয়েছে। পিঠা বিক্রির আয়ে চলছে অনেকের সংসার। নাগরিক জীবনের নানা ব্যস্ততায় যারা ঘরে পিঠা বানিয়ে খাওয়ার সময় পান না, তাঁরা এসব দোকান থেকে পিঠা কিনে নেন। পিঠা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শীতের সময় মৌসুমি এসব পিঠার অন্য রকম কদর ক্রেতাদের কাছে। নগরীর আমির কুটির সড়কের মুখে ভ্রাম্যমাণ ভ্যানে সাজিয়ে বসা পিঠার দোকানে পিঠা তৈরিতে ব্যস্ত রাকিব। রাকিব বলেন, বরিশাল শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে পিঠা বিক্রি করেন সে। প্রতি মৌসুমে ২-৩ মাস বেশ ভালোই ব্যবসা হয়। স্বল্প চালানে প্রতিদিন যা আয় হয় তাতে ভালোই কাটে। মরকখোলার পুল এলাকার পিঠা ব্যবসায়ী হেলেনা বেগম বললেন, এখানে চিতই, ভাপা, পুলি ও তেলের পিঠার কদর সবচেয়ে বেশি। প্রতিটি পিঠা এখানে ১০-১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আটা, সিলিন্ডারের গ্যাসসহ প্রতিদিন গড়ে দেড় হাজার টাকার পুঁজি লাগে ব্যবসায়। প্রতিদিন গড়ে তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকার পিঠা বিক্রি হয়। খরচ বাদে গড়ে প্রতিদিন এক হাজার টাকা লাভ হয়। এ দিয়ে সংসার চলে। পিঠার ক্রেতা নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। শীত যত ঘনাচ্ছে পিঠার চাহিদা তত বাড়ছে। এই দোকানে পিঠা খেতে আসা কলেজ শিক্ষক জাকির হোসেন বলেন, হালকা শীতের এই সন্ধ্যায় চিতই পিঠার সঙ্গে শর্ষের ভর্তা, মরিচের ভর্তা, ধনেপাতা ভর্তার স্বাদে জিবে জল আসে। এ স্বাদের কারণেই প্রতিদিন এখানে পিঠা খেতে আসেন তিনি। জহুরুল ইসলাম নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘১৫ টাকায় এখানে সুস্বাদু পিঠা মিলছে। কোনো কোনো দিন খাওয়ার পর পরিবারের লোকজনদের জন্যও পিঠা কিনে নিয়ে যাই।’ শহরের জেলখানা মোড়ের ভ্যানে পিঠার পসরা সাজিয়ে বসেছেন নুরজাহান বেগম ও তাঁর স্বামী ফরিদ উদ্দিন। নুরজাহান বেগম বলেন, পিঠা বিক্রির আয়ে সংসার চলছে। শীত যত বাড়বে পিঠা বিক্রির তত ধুম পড়বে।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT