3:19 pm , January 13, 2024
মুলাদী প্রতিবেদক ॥ মুলাদীতে হত্যা মামলার আসামি ছেড়ে বাদীর স্বজনকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। মুলাদী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আওলাদ হোসেনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেছেন বাটামারা ইউনিয়নের রুবেল শাহ হত্যা মামলার বাদী নারগিস বেগম। ওই সময় বাদীর স্বজনকে মামলা ও গ্রেপ্তারের ভয় দেখিয়ে লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া ঘটনাটি ভিডিও করায় বাদীর মেয়েকে শাসিয়ে মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন বাদী। গত ১০ জানুয়ারি সন্ধ্যায় উপজেলার বাটামারা ইউনিয়নের জাগরনী বাজার পুলিশ ফাঁড়ি সংলগ্ন এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেছেন। তবে পুলিশ কর্মকর্তা মো. আওলাদ হোসেন আসামি ছেড়ে দেওয়ায় এবং মোবাইল ও টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
হত্যা মামলার বাদী ও বাটামারা ইউপি সদস্য নারগিস বেগম জানান, গত ৩ জানুয়ারি সকালে প্রতিপক্ষের লোকজন রুবেল শাহকে কুপিয়ে হত্যা করে। ওই ঘটনায় গত ৯ জানুয়ারি ৪৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ১০ জানুয়ারি সন্ধ্যায় বাটামারা জাগরনী বাজার এলাকায় হত্যা মামলার ১১ নম্বর আসামি আরিফ আকন বাড়িতে অবস্থান করছিলো। বিষয়টি পুলিশ কর্মকর্তা আওলাদ হোসেনকে অবহিত করে গ্রেপ্তারের অনুরোধ করা হয়। কিন্তু তিনি আসামি গ্রেপ্তার করতে গড়িমসি করায় আরিফ আকন ককটেল ফাটিয়ে চলে যায়। পরে এসআই আওলাদ হোসেন নিহত রুবেল শাহের ভাতিজা রাসেল শাহ ও ভাই বেল্লাল হাওলাদারের বিরুদ্ধে ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগ তোলেন। ওই সময় দুই পুলিশ বেল্লালকে ধরে রাখে এবং এসআই আওলাদ হোসেন তাকে পিটিয়ে আহত করে। পরে তাকে মামলা ও গ্রেপ্তারের ভয় দেখিয়ে ১ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন এসআই আওলাদ। বিষয়টি রুবেল শাহর মেয়ে তাসনুভা ভিডিও করতে থাকলে পুলিশ কর্মকর্তা তাকে শাসিয়ে মোবাইল ছিনিয়ে নেন। পরে ভিডিও মুছে ফেলে মোবাইল ফিরিয়ে দেন।
এ ব্যাপারে এসআই আওলাদ হোসেন বলেন, ‘বেল্লাল হোসেন একজন হাত বোমার কারিগর। তিনি ১০ জানুয়ারি সন্ধ্যায় আসামি ধরার সহযোগিতার নাম করে হাত বোমা ফাটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছিলো। ওই ঘটনায় তাকে ডেকে সতর্ক করা হয়েছে। এর জেরধরে তিনি আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছেন।’ .
মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকারিয়া বলেন, ‘বাদী ও তার স্বজন বেল্লাল হাওলাদার অযৌক্তিক ও অবিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
