4:19 pm , January 9, 2024

নগরভবনের সেবার মান বেড়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ নতুন বরিশাল গড়ার অঙ্গিকার, জয় হোক শেখ হাসিনার- এ দৃপ্ত শ্লোগানে একটি আধুনিক স্মার্ট বরিশাল গড়ার প্রত্যয়ে গত বছরের ১৪ নভেম্বর বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহন করেন আবুল খায়ের আবদুল্লাহ (খোকন সেরনিয়াবাত)। প্রথমবারের মতো মেয়র নির্বাচিত হলেও একজন বিচক্ষন নগর পিতা হিসেবে তিনি তাঁর উপর দায়িত্ব পালন করে চলছেন। শত ব্যস্ততার মাঝে তিনি প্রতিনিয়ত নগরভবনে উপস্থিত থেকে দৈনন্দিন কার্য সম্পাদন করছেন। মেয়রের নিয়মিত উপস্থিতিতে নগরভবনের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারি অফিস সূচি অনুযায়ী স্ব-স্ব দায়িত্ব পালন করছেন। ফলে গ্রাহকরা বিভিন্ন শাখায় গিয়ে সংশ্লিষ্টদের উপস্থিতিতে স্বল্প সময়ে তাদের সেবা পেয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করছেন। নগরীর রুপাতলী থেকে আসা এক বয়োবৃদ্ধ নগর ভবন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় এ প্রতিবেদকের সাথে তার কথা হয়। কাঙ্খিত সেবা পেয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে তিনি বলেন, আগে কোন কাজে নগর ভবনে গেলে এক টেবিল থেকে আরেক টেবিলে ঘোরাঘুরি করতে হতো। এখন সে অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। তিনি বলেন, কর্মকর্তা নেই এ অযুহাত দিয়ে দিনের পর দিন কাজ আটকে রাখা হতো। কখনো নগর ভবন আবার কখনো বিবির পুকুর পাড়ের এ্যানেক্স ভবনে ছোটাছুটি করতে হতো। এখন বেশীরভাগ শাখাই নগর ভবনে থাকায় ভোগান্তি কমে গেছে। দূর্ভোগ লাঘবে মেয়রের নেয়া এ সিদ্ধান্তকে তিনি সাধুবাদ জানান। এদিকে সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর সময়ে চাকুরীচ্যূত সকলে গত সপ্তাহে তাদের চাকুরী ফিরে পেয়ে যেন নতুন করে প্রান ফিরে পেয়েছেন। কাজে যোগদান করে নতুন উদ্যমে তারাও তাদের দায়িত্ব পালন শুরু করে দিয়েছেন। হারানো চাকুরি ফিরে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে তারা বলছেন, হঠাৎ করে চাকুরি হারিয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছিলাম। কিন্তু দায়িত্ব গ্রহনের পর স্বল্প সময়ে আবুল খায়ের আবদুল্লাহ আমাদেরকে চাকুরি ফিরিয়ে দিয়ে মহানূভবতার পরিচয় দিয়েছিলেন। আমরা কর্মকর্তা-কর্মচারিসহ আমাদের সকলের পরিবার মেয়র মহোদয়ের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকবো। গতকাল মঙ্গলবার দিনভর নগরভবনে অবস্থানকালে দেখা যায়, সকাল ০৯ টার মধ্যেই বেশীরভাগ কর্মকর্তা-কর্মচারি নগর ভবনে প্রবেশ করে যার যার কাজে নিয়োজিত হচ্ছেন। সকাল ১০ টা বাজার আগেই সেবা গ্রহনকারী প্রাহক আর কর্মকর্তা-কর্মচারিদের সরব উপস্থিতিতে সরগরম হয়ে উঠে নগরভবন। বারোটার কিছু সময় পরে নগর ভবনে এসে নিজ কার্যালয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন মেয়র আবুল খায়ের। বেলা প্রায় চারটা পর্যন্ত নগরভবনে অবস্থানকালে মেয়র আবুল খায়ের দর্শনার্থীদের সাক্ষাত দেয়ার পাশাপাশি দাপ্তরিক কার্য সম্পাদন করেন। নামাজ ও খাবারের এক ঘন্টা বিরতির মধ্যেও প্রায় সকল শাখাতে কর্মকর্তা-কর্মচারিদের নিজ নিজ শাখায় কাজ করতে দেখা গেছে। বিরতির সময়টাতে নামাজ পড়ে অনেককেই দুপুরের খাবার নিজ ডেক্সে বসেই খেতে নিতে দেখা গেছে। এব্যাপারে আলাপকালে বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারি এ প্রতিবেদককে বলেন, দায়িত্ব গ্রহনের পর থেকেই প্রতিনিয়ত সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত মেয়র মহোদয় অফিস করছেন। তবে বিপরীত ছিলেন সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। তিনি এনেক্স ভবনেই নিয়মিত আসতেন না। তাছাড়া নগর ভবনে তাঁর উপস্থিতি ছিল একেবারেই কম। ফলে কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা স্বাধীন ভাবে নিজেদের ইচ্ছা মত কাজ করতেন। নতুন মেয়র নিয়মিত অফিস করার কারনে কর্মকর্তা-কর্মচারিরাও আগের চেয়ে আরো বেশি কাজে মনোনিয়োগ করেছেন। অফিস সময়সূচি অনুযায়ি যে যার দপ্তরে উপস্থিত থেকে দৈনন্দিন কার্য সম্পাদন করছেন। ফলে আগের চেয়ে কাজের গতি অনেক বেড়েছে। মোট কথা নতুন পরিষদ দায়িত্ব গ্রহনের পর থেকে নগরভবনের সেবার মান যেমন বেড়েছে, তেমনি দায়িত্বরতরা এখন চিন্তামুক্ত থেকে তাদের নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করছেন।