তিনবারের সংসদ সদস্য রতনা আমিন হারালেন জামানত তিনবারের সংসদ সদস্য রতনা আমিন হারালেন জামানত - ajkerparibartan.com
তিনবারের সংসদ সদস্য রতনা আমিন হারালেন জামানত

4:09 pm , January 8, 2024

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ তিনবারের সংসদ সদস্য ও একবারের বরিশালের বাকেরগঞ্জ পৌর চেয়ারম্যান নাসরিন জাহান রতনা দ্বাদশ সংসদের ভোটে বরিশাল-৬ আসনে হারিয়েছেন জামানত। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর সাধারন মানুষের খোঁজ খবর নেয়নি। বাকেরগঞ্জ উপজেলা ও পৌর এলাকায় সামান্য উন্নয়ন করেনি। জনসম্পৃক্ততা না থাকায় সাধারন ভোটাররা তাকে ভোট দেননি। এত কম ভোট পাওয়া মেনে নিতে না পারা জাতীয় পার্টির নেতারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন বলে জানিয়েছেন।
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য নাসরিন জাহান রতনা দলীয় লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে বরিশাল-৬ আসন ২০১৪ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ও ২০১৮ সালের ভোটে বিএনপির প্রার্থীকে হারিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। জাতীয় পার্টির কো চেয়ারম্যান রুহুল আমিন হাওলাদারের স্ত্রী নাসরিন জাহান রতনা এবারো ওই আসনে দলীয় মনোনয়ন পান। মহাজোটের শরীক হিসেবে এ আসনে আওয়ামী লীগ ছাড় দেয়ার কথা ছিলো। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ছাড় দেয়া হয়নি। আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পাওয়া মেজর জেনারেল অব. আব্দুল হাফিজ মল্লিক প্রার্থী হয়। তবুও প্রার্থীতা থেকে সরে যাননি নাসরিন জাহান রতনা।
রোববারের ভোটে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মেজর জেনারেল অব. আব্দুল হাফিজ মল্লিক বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন। তার সাথে নুন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেননি নাসরিন জাহান রতনা।
রিটানিং কর্মকর্তা ঘোষিত ফলাফলে দেখা গেছে, তৃতীয় হয়েছেন নাসরিন জাহান রতনা। তার প্রাপ্ত ভোট ৯ হাজার ১৮৮। নাসরিন জাহান রতনা নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী প্রাপ্ত ভোটের আট ভাগের একভাগ পাননি। তাই তার জামানত ফেরত পাবেন না তিনি।
২০০৪ বাকেরগঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন নাসরিন জাহান রতনা। একাদশ সংসদ নির্বাচ মহাজোটের প্রার্থী হয়ে তি?নি ১ লাখ ৫৯ হাজার ৩৯৮ ভোট পেয়েছিলেন। নবম সংসদে সংরক্ষিত সংসদ সদস্যও ছিলেন তিনি।
দ্বাদস সংসদের নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয় সম্পর্কে উপজেলার এক বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, নির্বাচিত হওয়ার পর আর তার দেখা পাওয়া যায় না। শুধু আসা আর যাওয়া। সাধারন মানুষের সাথে তেমন মেশেননি। কোন উন্নয়ন করেননি।
উপজেলার দুধল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম মোর্শেদ খান জানিয়েছেন, নির্বাচিত হওয়ার পর তাকে এলাকায় দেখা যায় না। এলাকার কোন কাজে তাকে পাওয়া যায়নি। তাই তিনি ভোট পাননি।
চরামদ্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. সাহাবউদ্দিন খোকন বলেন, আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর একবারেও তাকে দেখিনি। সাধারন মানুষ তাকে কিভাবে দেখবেন।
এসব অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক বিপ্লব মিত্র বলেন, তিনি আসতেন। সাধারন মানুষও তার কাছে আসতো।
এলাকার অনেক উন্নয়ন করেছে দাবি করে বিপ্লব বলেন, তার সময়ে বাকেরগঞ্জের মানুষ শান্তিতে ছিলো। কারো কোন অভিযোগ ছিল না।
এত কম ভোট পাওয়ার বিষয়ে বিপ্লব বলেন, দুই এক দিনের মধ্যে নেতাকর্মীদের নিয়ে বৈঠক করা হবে। কি কারনে এত কম ভোট পাওয়ার কারন অনুসন্ধান করা হবে।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT