4:10 pm , January 3, 2024
বিশেষ প্রতিবেদক ॥ লাকুটিয়া ও চাঁদমারী দুটি খালের পাশে মানুষের ভীড়। সকলের মুখে প্রশংসা পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীম ও সিটি মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাতের। ভীড় ঠেলে একজনকে প্রশ্ন করতেই উত্তর এলো‘ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সময় জাহিদ ফারুক ও খোকন সেরনিয়াবাত কথা দিয়েছিলেন নগরীর সাতটি খাল পুনরুদ্ধার করে ওয়াকওয়ে করবেন। তারা কথা রেখেছেন। লাকুটিয়া, নবগ্রাম, চাঁদমারি ও জেল খালে ভেকু দিয়ে আবর্জনা পরিষ্কার ও খননের কাজ চলছে। যা দেখতে ভীড় করছেন পথচারী ও এলাকাবাসী। চাঁদমারী খালের ইতিমধ্যেই প্রায় ৪৫০ মিটার খাল পুনঃখনন করা হয়েছে। যার সৌন্দর্য মুগ্ধ করছে এলাকাবাসীকে। এদিকে লাকুটিয়া খাল পুনঃখনন শেষে খালের দুপাশে সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য গাছ লাগিয়ে দেয়া হচ্ছে। খুব শীঘ্রই ওয়াকওয়েও নির্মাণ হবে এসব খালের দুপাড়ে। এমনটাই জানালেন স্থানীয় বাসিন্দারা। চাঁদমারীতে দায়িত্বরত পানি উন্নয়ন বোর্ডের সুপারভাইজার মিজানুর রহমান বলেন, কীর্তনখোলা নদীর সাথে সরাসরি সংযোগ এই খালের দুটি শাখা। একটি শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ছাত্রাবাসের ভিতর অন্যটি চলে গেছে ডিসি বাংলোর পিছন দিয়ে মিশেছে সাগরদি ও নবগ্রাম খালে। মোট ১৪০০ মিটার কাজের ৮০০ মিটার ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে বলে জানান তিনি। আর বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী খালিদ হোসেন বলেন, নগরীর সাতটি খাল পুনরুদ্ধারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী পাঁচটি খালের কাজ গত মাস থেকেই শুরু হয়েছে। খালের ধরণ ও অবস্থান অনুযায়ী গভীরতা চার থেকে ছয় ফিট এবং পাশে ১৮ থেকে ৩০ ফিট পর্যন্ত রাখা হচ্ছে। যেখানে পাশে কোনো জায়গা নেই সেখানে পাড় যাতে ভেঙে না পড়ে সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি দেয়া হচ্ছে বলে জানান নির্বাহী প্রকৌশলী।