4:09 pm , January 3, 2024

বঙ্গবন্ধু মিলনায়তন পরিদর্শনকালে মেয়র খোকন
বিশেষ প্রতিবেদক ॥ বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত বলেছেন, বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনের কাজের পুরো টাকাই সরকারের গচ্ছা গেছে। এটি একটি কা-জ্ঞানহীন কাজ হয়েছে।
বুধবার দুপুরে বরিশাল নগরীর অন্যতম উল্লেখযোগ্য স্থান কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংলগ্ন বঙ্গবন্ধু মিলনায়তন পরিদর্শন শেষে মেয়র খোকন সেরনিয়াবাত আরো বলেন, আমি নির্বাচিত হবার পর এই প্রথম এই ভবনের চারতলা পর্যন্ত পুরোটা ঘুরে দেখলাম। পুরো ভবনের কাজেই অসংখ্য অসংগতি রয়েছে। ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী এই ভবন উদ্বোধন করে যাওয়ার পরও আজ পর্যন্ত এটি ব্যবহার উপযোগী হয়নি এটা আমাদের চরম লজ্জা।
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার বরিশালে। এর উচ্চতা ৪৪ ফুট। এই শহীদ মিনারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকালে বঙ্গবন্ধু ঘোষণা দিয়েছিলেন, এখানে পাঠাগার ও মিলনায়তন নির্মাণের। তাই আওয়ামী লীগ সরকার বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণের অঙ্গিকার নিয়ে ২০১৪ সালে এই ভবন নির্মাণ শুরু করে। কিন্তু দীর্ঘ ১০ বছরেও অসমাপ্ত রয়ে গেছে এই বঙ্গবন্ধু অডিটোরিয়ামের নির্মাণকাজ। পাঁচতলা এই অডিটোরিয়ামের নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল ২০১৪ সালের ১৩ জানুয়ারি। ১৭ কোটি ২৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি নির্মাণকাজ শেষ করার কথা থাকলেও কাজ শুরুর পর দুই দফায় মেয়াদ বাড়ানো হয়। দ্বিতীয় মেয়াদের এক বছর পার হওয়ার পরই আবার কাজ বন্ধ ছিলো দীর্ঘদিন।
সিটি করপোরেশন সূত্র জানায়, নির্মাণকাজ শেষ করার সময়সীমা নির্ধারিত থাকলেও পরে নকশা পরিবর্তন হওয়ায় মিলনায়তন নির্মাণ ব্যয় বাড়িয়ে ২৫ কোটি টাকা করা হয়। এ সময় নির্মাণকাজের সময়সীমা বাড়িয়ে ২০১৬ সালের জুন পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়। কিন্তু দ্বিতীয় দফায় সময়সীমা নির্ধারণ করে দেওয়ার পরও মিলনায়তনের নির্মাণকাজ অসমাপ্ত রেখে চলে যায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এরপর তাড়াহুড়ো করে ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে এই ভবনের উদ্বোধন করানো হলেও ভবনের ভেতর ও বাইরের সাজসজ্জার অনেক কাজ এখনো অসমাপ্ত পড়ে আছে। এমতাবস্থায় ক্ষমতা হস্তান্তরের একদিন আগে তড়িগড়ি করে ১৮টি প্রতিষ্ঠানকে মিলনায়তনের কক্ষ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে বলেও জানা গেছে।
মেয়র খোকন সেরনিয়াবাত পাঁচতলা এই মিলনায়তন পরিদর্শন করে এটি পুনরায় প্রকৌশলী দিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা ও কাজের অনিয়ম তদন্তের আভাস দিয়ে বলেন, যাচাই-বাছাই ছাড়া কোনো সংগঠনকে কক্ষ বরাদ্দ দেয়া অনুচিত। আমি এগুলো পুনরায় যাচাই করবো।