4:05 pm , January 3, 2024

হিজলা প্রতিবেদক ॥ হিজলা উপজেলায় ভিশন কেয়ার হাসপাতালের অংশীদারদের দ্বন্দ্বে সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে রোগীরা।
জানাযায়, উপজেলায় করোনাকালীন সময়ে খুন্না বাজার সংলগ্ন এলাকায় শাহে আলম রিয়াদ জমি ক্রয় করে চিকিৎসা সেবা দিতে চার তলা বিশিষ্ট ভবন নির্মান করেন। ওই ভবনে ভিশন কেয়ার হাসপাতাল চালু করে। কিছুদিন পরে শাহে আলম রিয়াদ অর্থ সংকটের কারনে ৩ জনকে ৪৫ শতাংশ লিখিতভাবে অংশীদারিত্ব দেয়। প্রতিষ্ঠানে যন্ত্রপাতি ক্রয় নিয়ে অংশীদারের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। তখন স্থানীয়ভাবে মীমাংশার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে আদালতে যায়।
এ বিষয়ে ভবনের মালিক ও প্রতিষ্ঠানের অংশীদার শাহে আলম রিয়াদ জানায়, অংশীদাররা যে টাকা দিয়েছে তা লিখিতভাবে প্রশাসনের কাছে জামা দেওয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের একটি চেক হারিয়ে গেছে। এ বিষয়ে থানায় সাধারন ডায়রী করা হয়েছিল। হারিয়ে যাওয়া চেক দিয়ে অংশীদার শাহেন শাহ চৌধুরী সামু ১ কোটি ১৫ লক্ষ টাকার জালিয়াতির মামলা করেছে। ৩ জন অংশীদারের অনুপস্থিতিতে ভবনের চার তলার রুম ভাঙ্গার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জমি ও ভবনের মালিক আমি। তারা শুধু হাসপাতালের অংশীদার। র্দীঘ ২ বছর যাবৎ ভবনের ভাড়া না দেওয়ায় ৪র্থ তলা মালামাল অপসারন করে মেরামতের কাজ করছি।
অনুপস্থিত থাকা প্রতিষ্ঠানের অংশীদার রফিক সরদার জানায়, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নিয়ে আদালতে মামলা রয়েছে। হিজলা থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নির্দেশে রোগী সেবা বঞ্চিত না হয়, তার জন্য হওয়ার ম্যানেজার নিয়োগ সেবা পরিচালনা করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, ভিশন কেয়ার হাসপাতাল চার জন অংশীদার। এরমধ্যে ৩ জনের অনুপস্থিতিতে একজন ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে এককভাবে পরিচালনার চেষ্টা করে।
অনুপস্থিত থাকা অংশীদারা ৯৯৯ এ ফোন করেন । তখন হিজলা থানা এসআই আরিফুল ইসলাম ঘটনাস্থানে যায়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভবনের মালিক শাহে আলম রিয়াদ তার ভবন মেরামতের কাজ করে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।